ঈদের ছুটিতে সুন্দরবনে আসা পর্যটকদের ভোগান্তির শেষ নেই, বিশেষ করে কটকা অভয়ারণ্য পর্যটন কেন্দ্রে। প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের ছুটিতে পর্যটকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে সুন্দরবনে ঘুরতে এসেছেন। তবে, কিছু পর্যটন স্পটে নানান অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। এর মধ্যে কটকা অভয়ারণ্য পর্যটন কেন্দ্রের নড়বড়ে সিঁড়ি যেন পর্যটকদের জন্য এক মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।
ঈদের পরের দিন (১ মার্চ) থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। হাড়বাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, ডিমের চড়, আলোর কোল, আন্ধারমানিকসহ অন্যান্য স্পটে সয়লাব হয়ে উঠেছে পর্যটকরা। প্রায় ২০ হাজারের অধিক পর্যটক ঈদের সরকারি ছুটিতে সুন্দরবনে ভ্রমণে এসেছেন, ফলে রাজস্ব আয় আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে কটকা অভয়ারণ্য পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে যে সিঁড়িটি ব্যবহৃত হচ্ছে, তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও নড়বড়ে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই সিঁড়ি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পর্যটকরা প্রবেশ করছেন। বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যটকদের সুবিধার্থে কোনো পল্টুন বা গ্যাংওয়ে স্থাপন করেনি। নদীতে ভাটার সময় পর্যটকরা এই স্পটে প্রবেশ করতে পারছেন না, আর প্রবেশ করলে সিঁড়ির নড়বড়ে অবস্থার কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে।
ঈদের ছুটিতে সুন্দরবনের ৬টি পর্যটন স্পটই দেশ-বিদেশি পর্যটকে পূর্ণ হয়ে উঠেছে। পর্যটকদের দাবি, বন বিভাগ যেন উন্নত পল্টুন এবং গ্যাংওয়ে স্থাপন করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
ইকরা টুরস এ্যান্ড ট্রাভেলস এর পরিচালক ইমাম হাসান রাজীব বলেন, "কটকা অভয়ারণ্য পর্যটন স্পটের সিঁড়িটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিনিয়ত পর্যটকরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। দ্রুত পল্টুন ও গ্যাংওয়ের ব্যবস্থা করা উচিত।"
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, "কটকা অভয়ারণ্য পর্যটন কেন্দ্রে একটি স্থায়ী পল্টুন রয়েছে, যা সংস্কারের জন্য ঠিকাদার কাজ করছে। আশা করি, খুব শিগগিরই এখানে স্থায়ী পল্টুন বসানো হবে।"
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :