সিসি ক্যামেরা আর নৈশ্য প্রহরীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চুরি সংঘটিত হয়েছে কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনে। জানালার গ্রীল কেটে চুরি করেছেন ল্যাবটব। এতে করে প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।
সোমবার সকালে ঘটনাটি নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যানের উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা (সিএ) রাশেদুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ চত্বর ছিল আগে থেকেই সিসি ক্যামেরা আওতায়। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদে রয়েছে আনসার ক্যাম্প। রাতে নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের সামনে পাহারত ছিলেন দুই জন আনসার সদস্য ও উপজেলা চত্বরে পাহারায় ছিলেন চার অফিসের চার জন নৈশ প্রহরী। এরপরও পরিষদের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলার দুইটি কক্ষের জানালার গ্রীল কাটেন চোরেরা। চুরি করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কার্যালয়ের সিএর ল্যাবটব। এলোমেলো করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সিএ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সিএর কক্ষের অফিসিয়াল কাগজপত্র।
রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলার দুইটি কক্ষে। ওই সময় চলছিল লোডশেডিং। সেই সুযোগে চোরেরা কক্ষ দুইটির জানালার গ্রীল কেটে ভিতরে প্রবেশ করেন। এরপর চুরি করে নিবিঘ্নে পালিয়ে যান তারা এমনটাই জানা যায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে। এতে করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উপজেলা চেয়ারম্যানের উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ চত্বর সিসি ক্যামেরার আওতাধীন। এ ছাড়া রাতে পাহারায় ছিলেন চার জন নৈশ্য প্রহরী। এরপরও যদি চুরির মত ঘটনা ঘটে তাহলে তো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। ঘটনাটি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা ইন্দ্রজিত সাহা বলেন,চোরেরা গ্রীল কেটে এলোমেলো করেন কক্ষ দুইটি কাগজপত্র, নিয়ে যান উপজেলা চেয়ারম্যানের সিএর কক্ষ থেকে ল্যাবটব। এ ছাড়া অন্যকিছু খোয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
কোটচাঁদপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান বলেন,অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত শুরু করছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। তবে মোবাইল রিসিভ না করায় কোন মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :