চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মাদক সেবনে বাঁধা দেয়ায় আল-আমিন (১৮) নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে জখম করেছে মাদক সেবনকারিরা।
রোববার (৬ এপ্রিল) রাত ৮ টার সময় ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম চর কুমিরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা। সে ওই গ্রামের দেওয়ান বাড়ির জিতু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় মাদকের সাথে জড়িত সাইফুল ইসলাম (৫০) একজনকে আটক করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে যানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ ওই গ্রামে সাইফুল ইসলাম ও তার ছেলে মিথুন, মানিক মাদক সেবন বিক্রয় করে আসছে। প্রতিদিনের ন্যায় সাইফুল ইসলাম গংরা ভুক্তভোগী আল-আমিনদের বাড়ির সামনে মাদক সেবন করছে। এমন সময় আল-আমিন ওই মাদক সেবনে বাধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আল-আমিনকে ধারালো ছুরি( সুইচ গিয়ার) দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এমন সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা এসে ঘটনাস্থল থেকে আহতবস্থায় আল-আমিনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনাস্থল থেকে মিথুন ও মানিক নামে দু’জন পালিয়ে যেতে পারলেও স্থানীয়রা সাইফুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে থানা পুলিশকে খবর দেয়।
সাইফুল ইসলামের ও তার দুই ছেলে মিথুন এবং মানিক প্রকাশ্যে মাদক সেবনের বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয়বাসিন্দা আলমগীর হোসেন, ইব্রাহিম মিয়া, মো. আবুল কালাম ও হাছান বেপারিসহ অনেকেই বলেন, এই পরিবারটি যুব সমাজকে ধ্বংশ করে দিচ্ছে। তাদের উপযুক্ত বিচার হওয়া প্রয়োজন।
তারা আরো বলেন, জিতু মিয়ার ছেলে আল-আমিন কিশোর হলেও দিন মজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এই ছেলেটির ওপর এমন নেক্কার জনক হামলার ঘটনায় সকল অভিযুক্তকে খুঁজে আইনের আওতায় আনতে হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্ আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলমান রয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :