চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। আহতরা দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার উত্তর চাঁদপুর গ্রামের জোড়াতলা মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন— উত্তর চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন (৩৫), আফছার আলীর ছেলে মিলন হোসেন (৩০), নুর হকের ছেলে রকিবুল রহমান (৩৮), মাহাবুবুর রহমান (৪০), তার ছেলে তানভির (২৫), মৃত আফছার আলীর ছেলে আব্দুল আলিম (৩৫), মস্তবারী মণ্ডলের ছেলে ইউনুস আলী (৫০), তাহাজ উদ্দীনের স্ত্রী রশিদা খাতুন (৪০), সামসুলের স্ত্রী আছিয়া খাতুন (৩০), সামসুল হকের ছেলে হায়দার আলী (৫০), তার ছেলে হাসিবুর (১৯), তাহাজ উদ্দীনের ছেলে শহিদ (১৮), রাশিদুল ইসলামের ছেলে ইনামুল (২২), নাজের আলীর ছেলে শরিফুল (৩৫), নাজের মণ্ডলের ছেলে রফিকুল (৫০), খোদা বক্সের ছেলে বাবলু (৪০), বিল্লাল হোসেনের ছেলে জুবায়ের হোসেন (৩৫) ও অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের সামসুল হকের ছেলে হায়দার আলী এবং মৃত আফছার আলীর ছেলে আব্দুল হালিম গংয়ের মধ্যে উত্তর চাঁদপুর গ্রামের জোড়াতলা মাঠে ২৪ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে হালিম গং পাট বুনতে গেলে বিরোধপূর্ণ জমিতে অপর পক্ষ বাধা দেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের নারী-পুরুষসহ অন্তত ২২ জন আহত হন। খবর পেয়ে দামুড়হুদা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহামিদা আক্তার রুনা বলেন, “মারামারির ঘটনায় সকাল থেকে আহত রোগীরা আসছেন। বর্তমানে ১৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং গুরুতর আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।”
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমি নিজে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :