AB Bank
  • ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

রামগঞ্জে অবৈধ ইটভাটা মাটির সঙ্গে গুড়িয়ে দিলো উপজেলা প্রশাসন


রামগঞ্জে অবৈধ ইটভাটা মাটির সঙ্গে গুড়িয়ে দিলো উপজেলা প্রশাসন

কোনো কিছুই তোয়াক্কা না করে, আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, অনুমোদন ছাড়াই চলছে বেশিরভাগ ইটভাটার কার্যক্রম। অদৃশ্য শক্তি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি মহল রাতের আঁধারে খননযন্ত্র (ভেকু মেশিন) ও বড় চাকার ট্রলি দিয়ে গ্রামীণ সড়ক নষ্ট করে জমির টপসয়েল লুটে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এসব ফসলি জমির উর্বর মাটি চলে যায় স্থানীয় ইটভাটাগুলোতে। বছরের পর বছর ধরে এমন নির্যাতন চলে আসছিল। অবশেষে, অবৈধভাবে নির্মিত এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে মাঠে নামে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবব্রত দাসের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় অবৈধ তিনটি ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কারিগরি সহায়তা নিয়ে পানি দিয়ে ইটভাটা ও কাঁচা মাল ভিজিয়ে বিনষ্ট করে দেওয়া হয়। অভিযানে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা, আথাকরা, সমেষপুর, সাহারপাড়া, শাকতলা গ্রামের অধিকাংশ ফসলি জমির মাঠে তৈরি হয়েছে শত শত পুকুর। চাষাবাদ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে স্থানীয় মাটিখেকো ও ভূমিদস্যুদের কারণে।

অভিযানে ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়- ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা মেসার্স মদিনা ব্রিকস এর সত্ত্বাধিকারী আমির হোসেন (ডিপজল), দুইটি ও জাহাঙ্গীর ব্রিকসসহ তিনটি ইটভাটা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনীর চৌকস দল এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা, আথাকরা, সমেষপুর, সাহারপাড়া, শাকতলা গ্রামগুলোতে অধিকাংশ জমি এখন পুকুরে পরিণত হয়েছে, যা চাষাবাদে বিরাট প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। পুরো রামগঞ্জজুড়ে মাটি লুটেরাদের অবৈধ কার্যক্রমের কারণে এই দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে। ধুলোর কারণে পুরো এলাকা যেন মরুভূমির মতো হয়ে গেছে। গাছপালা, ফসলি জমি, ধানক্ষেত, ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোথাও কোনো উন্নয়ন হয়নি। গ্রামীণ সড়কগুলোও বেশিরভাগ ভেঙে পড়েছে, এমনকি সেগুলো প্রায় ২০ বছরেও সংস্কার হয়নি। অসংখ্য গর্তে ভরা রাস্তাগুলোতে চলাচল করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত দাস বলেন, “এসব ইটভাটার কোনো লাইসেন্স নেই এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও নেই। সেজন্য এগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অবৈধ ব্রিকফিল্ড আরও থাকলে, আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে অবৈধ সব ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।”

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Shwapno
Link copied!