মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে প্রকাশ, সিংগাইরের জামির্ত্তা ইউনিয়নের বিন্নাডাঙ্গী গ্রামের তারা মিয়া (৫৮) ও তার ছেলে আলামিন (৩৫) ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণ করেছেন। ভিকটিমের মা, যিনি নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা, সিংগাইরে আসামিদের বাড়ির পাশে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন এবং তার ২৮ বছরের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে তাদের বাড়ির পাশের মুদি দোকানে জিনিসপত্র কিনতে যেতেন।
গত ২৮ অক্টোবর সকাল ৬ টায় তারা মিয়া ভিকটিমকে দোকানের জিনিসপত্র দেওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে দোকানের পাশের ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। তার কিছুদিন পর ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায়, ভিকটিম বিস্কুট কেনার জন্য দোকানে গেলে, আলামিন তাকে অতিরিক্ত বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে দোকানের স্টোর রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
ভিকটিম কিছুদিন পর পেটে ব্যথা অনুভব করলে তার পরিবার বিষয়টি জানে এবং প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো হয়। এতে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। তবে, অভিযুক্ত বাবা তারা মিয়া এবং তার ছেলে আলামিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হারুন অর রশিদ বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য জোর চেষ্টা চলছে।
সিংগাইর থানার ওসি জে.ও.এম তৌফিক আজম জানিয়েছেন, ভিকটিমকে ২২ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পিতৃ পরিচয় নির্ধারণ করা হবে।
এ ঘটনা এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে এবং সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :