বিধি বহির্ভূতভাবে আল্ট্রাসনো করা এবং হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায় লঙ্ঘন করে নামের সঙ্গে ডাক্তার পদবী ব্যবহারের অপরাধে প্রদীপ হালদার নামের এক মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টকে জেল-জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (৯ এপ্রিল) মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান ইসলাম শোভন এবং জেলার এক্সিকিউটিভ মেজিস্ট্রেট প্রবীর বিশ্বাস মুকসুদপুরের কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে এ রায় দেন।
উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান ইসলাম শোভন জানান, উপজেলার খান্দারপাড়া ইউনিয়নের ড. সাইদুর রহমান লস্কর-ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল (যা বারডেম এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান) নামক হাসপাতালে অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স না থাকা, যথাযথ যোগ্যতাহীন লোক দিয়ে এক্সরে পরিচালনা করা, এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে রক্ত পরিসঞ্চালনের মত স্পর্শকাতর কার্যক্রম পরিচালনা করা, ডিএমএফ দিয়ে আল্ট্রাসনো করানোসহ বিবিধ অনিয়ম দেখতে পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব কারণে প্রতিষ্ঠানটির সকল কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও, উক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রদীপ মন্ডল নামে এক ডিএমএফ ডিগ্রীধারী তার নামের আগে ডাক্তার পদবী লেখা এবং আল্ট্রাসনো করার অপরাধে ১ মাসের জেল এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এবং মহামান্য আদালতের সাম্প্রতিক রায় অনুযায়ী এমবিবিএস এবং বিডিএস ব্যাতীত কেউ নামের আগে ডাক্তার পদবী ব্যবহার করতে পারবেন না।
মুকসুদপুরের যে সমস্ত ডিএমএফ ডিগ্রীধারী এই আইন অমান্য করে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :