কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় পূর্ববিরোধ এবং মা-মেয়েকে উত্যক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই গ্রামের বাসিন্দারা। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত একজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শহরের মোড় এলাকার মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, গত শুক্রবার দক্ষিণ খরখরিয়া গ্রামের পশির উদ্দিনের স্ত্রী ও মেয়ে দ্বিতীয় তিস্তা সেতুতে ঘুরতে গেলে শহরের মোড় এলাকার কয়েকজন যুবক গোপনে ছবি তোলে ও উত্যক্তের চেষ্টা করে। প্রতিবাদ জানালে উপস্থিত রমনা ইউনিয়নের ডাঙ্গার চর এলাকার দুই যুবক সাজু ও মোতালেবের ওপর হামলা চালানো হয়।
পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ খরখরিয়া এলাকার আলমগীর হোসেন (৩৫) ভুট্টা ক্ষেতে গেলে পুনরায় তার ওপর হামলা হয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সেখান থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এরই জেরে দুই গ্রামের মানুষ মাইকিং করে সংঘর্ষে জড়ায়। দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে অংশ নেয় প্রায় ২০০ জন। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই এ সংঘর্ষ ঘটে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম কুড়িগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সাফায়েত হোসেনের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক, থানা পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ现场 পরিদর্শন করেন।
রমনা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, পূর্ব বিরোধ এবং সাম্প্রতিক উত্যক্তের ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা চলছিল। সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকায় থানার ওসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত তা ঠেকানো সম্ভব হয়নি।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক বলেন, “সেনাবাহিনী, প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কেউ আইনভঙ্গ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :