মানবিক গুণাবলি ও পেশাগত নিষ্ঠার জন্য পরিচিত প্রয়াত পুলিশ কর্মকর্তা আকবর হোসেন কাজীর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) গোপালগঞ্জ বিসিক শিল্পনগরী জামে মসজিদ ও ডুমদিয়া মধ্যপাড়া জামে মসজিদে বাদ জুমা তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। একইসাথে ফিলিস্তিনিদের জন্য মহান আল্লাহর গায়েবি সাহায্য কামনায়ও বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
প্রয়াত আকবর হোসেন কাজী ছিলেন সাংবাদিক কে এম শফিকুর রহমান, কে এম সাইফুর রহমান ও কাজী সেলিম নয়নের গর্বিত পিতা এবং সাংবাদিক কাজী ফারদীন রহমানের পিতামহ। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৭নং উরফি ইউনিয়নের ডুমদিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর পিতা মরহুম সৈয়দ আলী কাজী ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। নয় ভাইয়ের মধ্যে আকবর হোসেন কাজী ছিলেন দ্বিতীয়। পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের আগে তিনি শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। পরবর্তীতে তাঁর ভাগ্নে, বাগেরহাট জেলার প্রয়াত এএসপি মোল্লা নজরুল ইসলামের উৎসাহে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।
চাকরি জীবনে তিনি সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি খেলাধুলায়ও ছিলেন পারদর্শী—বিশেষ করে ফুটবল ও ভলিবলে। তাঁর পেশাগত ও ব্যক্তিগত সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পেয়েছেন একাধিক সম্মাননা ও পুরস্কার।
২০০৯ সালের ১০ এপ্রিল, যশোর বেনাপোল ইমিগ্রেশনে সিনিয়র পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত থাকাকালে আকস্মিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে ফরিদপুর মোড়ে পবিত্র জুমার আজানের ধ্বনির মধ্যেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র, এক কন্যা এবং অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে যান।
প্রয়াত এই মানবিক পুলিশ কর্মকর্তার স্মৃতি আজও তাঁর পরিবার, সহকর্মী এবং এলাকাবাসীর হৃদয়ে অমলিন।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :