রাজশাহীর তানোর উপজেলার রায়তান আকচা গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক প্রামাণিক লিজ নেওয়া ২০৬ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করতে গিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বাধার মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। জমির বেশিরভাগ অংশ নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার রামগাঁ এলাকায় অবস্থিত।
ভুক্তভোগী কৃষক লিখিতভাবে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিয়ামতপুর থানায় অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, অপারেটর মিজানুর রহমানের ডিপ টিউবওয়েলের আওতায় ২০৬ বিঘা জমি লিজ নিয়ে আব্দুল মালেক সাড়ে ৩৫ লাখ টাকা পরিশোধ করে প্রথমে আলু চাষ করেন। পরে ওই জমিতে বোরো চাষের জন্য আগাম আরও ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করে মাঝখানে ৪০ বিঘা জমিতে বীজতলা রোপণ করেন তিনি।
তবে স্থানীয় প্রভাবশালী জিয়াউর রহমান, রেজাউল ইসলাম, আবুল কাশেম ও ফিরোজসহ আরও কয়েকজন অতিরিক্ত অর্থ দাবি করে জমি চাষে বাধা দেন। আব্দুল মালেকের দাবি, প্রভাবশালীরা তার কাছ থেকে জোর করে স্ট্যাম্পে সই নিয়েছে এবং আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করেছে। মোট প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা আদায় করেও জমিতে চাষ করতে দেয়নি তারা।
স্থানীয়দের একাংশ জানিয়েছে, মালেক প্রামাণিক আলু চাষের পর বোরো চাষের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে তাকে জমিতে চাষ করতে না দিয়ে মাঠ থেকে বিতাড়িত করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা মন্তব্য দিতে রাজি হননি।
ভুক্তভোগী কৃষক বলেন,“আমি সব নিয়ম মেনেই জমি লিজ নিয়েছি, দুই দফায় টাকা দিয়েছি। এখন প্রভাবশালীরা জমি দখল করে আমাকে মাঠে নামতে দিচ্ছে না। আমার ৪০ বিঘা বীজতলা নষ্ট হওয়ার পথে। আমি ন্যায়বিচার চাই।”
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওছার আলম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিয়ামতপুর ইউএনও মেহেদী হাসান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :