কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া গেছে ২৮ বস্তা টাকা। এছাড়াও মিলেছে স্বর্ণালঙ্কার, রূপার অলংকার এবং বৈদেশিক মুদ্রা। চার মাস ১৩ দিন পর শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়।
এবার দানবাক্স খুলে পাওয়া অর্থ গণনায় অংশ নিচ্ছেন প্রায় ৪০০ জন। এর মধ্যে রয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তা, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, মসজিদ কমিটির সদস্য ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
দর্শনীয় তথ্য:
- দানবাক্সের সংখ্যা: ১১টি + একটি ট্রাঙ্ক
- টাকার পরিমাণ: এখনও গণনা চলছে, তবে বস্তার সংখ্যা অনুযায়ী এবারও রেকর্ড হওয়ার সম্ভাবনা
অংশগ্রহণকারী:
- মাদ্রাসার ছাত্র: ২৮৫ জন
- ব্যাংক স্টাফ: ৮০ জন
- মসজিদ কমিটির সদস্য: ৩৪ জন
- আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: ১০ জন
গতবারের রেকর্ড আয়
গতবার (৩০ নভেম্বর ২০২৩) দানবাক্স খুলে ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সেই সময় ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
জনশ্রুতি ও বিশ্বাস
জনশ্রুতি অনুযায়ী, এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের স্মৃতিবিজড়িত এই স্থানটি আজ মানুষের মানত ও দানের কেন্দ্রস্থল। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ বিশ্বাস করে, এখানে দান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। ফলে গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি থেকে শুরু করে স্বর্ণালঙ্কার পর্যন্ত দান করেন মানুষ।
ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি জানিয়েছে, শিগগিরই একটি আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা, যেখানে একসঙ্গে ৩০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
মসজিদের আকার ও গুরুত্ব
মাত্র ১০ শতাংশ জমিতে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে মসজিদ কমপ্লেক্সের আয়তন ৩ একর ৮৮ শতাংশ। বর্তমানে এটি দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
একুশে সংবাদ//ঢ.প//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :