বাগেরহাট জেলার এক নারী ব্যবসায়ীকে গাজীপুরের শ্রীপুরে মারধর করে গর্ভপাত ঘটানো এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী সালমা আক্তার।
শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, শ্রীপুর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে ভাড়া থেকে ব্যবসা করতেন তিনি ও তাঁর স্বামী। দীর্ঘদিনের পরিচয়ে বাড়ির মালিক রফিকুল শেখের ছেলে শ্যামল ও তার মা সুমি বেগম তাঁদের কাছ থেকে ১০ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ধার নেন, যা দুই দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো হুমকি ও মিথ্যা মামলার শিকার হন সালমা ও তার স্বামী।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ২০২৩ সালের ৭ জুলাই নয়নপুর এলাকায় প্রকাশ্যে তাঁদের মারধর করে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ১২ ডিসেম্বর ফের এক হামলায় গুরুতর আহত হন সালমা আক্তার, এতে তার গর্ভে থাকা তিন মাসের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।
এ ঘটনায় তিনি ৯ জনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ২৮/২০২৪)। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অহিদ মিয়া পক্ষপাতমূলকভাবে তদন্ত করেছেন বলে সালমার অভিযোগ। তিনি জানান, ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে রক্ষার জন্য মনগড়া প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
পরে আদালতের নির্দেশে মামলাটি পিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। আদালত চার্জশিট থেকে বাদ পড়া আসামিদের গর্ভপাতের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা তদন্তের নির্দেশ দিলেও চার মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো প্রতিবেদন দাখিল হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে সালমা বলেন, “আমি গাজীপুরে গিয়ে মামলা পরিচালনা করতে পারছি না। অভিযুক্তরা বারবার আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি চাই।”
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :