কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী ইদ্রিসকে `মিথ্যা মামলায়` গ্রেফতারের প্রতিবাদে জেলার কোম্পানীগঞ্জ বাস স্টেশন থেকে দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলার সব বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহন শ্রমিকরা।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে ধর্মঘটে নেমে আসে পরিবহন শ্রমিকরা। এর ফলে মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ স্টেশন থেকে সব বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকেলে শ্রমিকরা বাস স্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশও করে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের অভিযোগ, হাজী ইদ্রিসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ভিত্তিহীন। শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও মুরাদনগর থানা পুলিশ যৌথভাবে তাকে কোম্পানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শ্রমিকরা তাৎক্ষণিক বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।
হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেকে ভ্যানে, অটোরিকশায় অতিরিক্ত ভাড়ায় যাতায়াত করতে বাধ্য হন।
বিকেলে শ্রমিক সংগঠনের নেতারা কোম্পানীগঞ্জ-মুরাদনগর-নবীনগর সড়ক ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এতে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন, সফিকুর রহমান এবং মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য ওয়াসিম মিয়া।
তাদের অভিযোগ, কোম্পানীগঞ্জ বাজারে যানজট নিরসনে কিছু শ্রমিক লাইনম্যান হিসেবে কাজ করছিলেন, যাদের দায়িত্ব দেয় বাস মালিক সমিতি। লাইনম্যান আবুল কালামকে `চাঁদাবাজ` বলে অপবাদ দিয়ে কিছু সমন্বয়ক তাকে পুলিশে দেয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিক ও মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক বলে দাবি করেন বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, “আমাদের দাবি উপেক্ষিত হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।”
গত ২৪ মার্চ কোম্পানীগঞ্জ সিএনজি স্ট্যান্ডে গাড়ির সিরিয়াল নিয়ে শ্রমিক ও সমন্বয়কারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে উভয় পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে। এই ঘটনার জেরে পুলিশ দুটি মামলায় প্রায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়, যার মধ্যে বিএনপি ও পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ৭ এপ্রিল বিএনপি নেতা বিল্লাল হোসেনকে একদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :