ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় স্ত্রীর হাতে পাথরের পুতো দিয়ে আঘাতে ওবায়দুর রহমান মুন্সি (৫৭) নামের এক কৃষকদল নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও পুত্রবধূকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন অর রশিদ। এর আগে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইছাপাশা গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত ওবায়দুর রহমান মুন্সি উপজেলার আব্দুল খালেক মুন্সির (ডক সাহেব) ছেলে এবং উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই ওবায়দুর রহমান মুন্সির সঙ্গে তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, ছেলে ও পুত্রবধূর পারিবারিক কলহ চলছিল। বুধবার রাত আড়াইটার দিকে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন পাটার পাথরের পুতো দিয়ে স্বামীর মাথা ও মুখে আঘাত করেন এবং পরে চিৎকার শুরু করেন। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে নিথর পড়ে থাকতে দেখেন।
নিহতের ছোট ভাই সিরাজ মুন্সি জানান, “ভাবি ও তাদের সন্তানরা প্রায় সময় আমার ভাইয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। মানসিকভাবে ভাইকে অসুস্থ করে তুলেছিলেন। ঘটনার রাতে ভাবি এসে বলেন, ভাইকে কেউ মেরে রেখে গেছে। আমি ভয়ে তাদের বাড়িতে যাইনি। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ এসে ভাইকে উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়, যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, “পারিবারিক কলহের জের ধরেই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগম জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, তিনি নিজেই স্বামীর মাথায় পাথরের পুতো দিয়ে আঘাত করেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :