নওগাঁর মান্দা উপজেলায় প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় বিএনপি ও যুবদলের অন্তত ৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার ১ নম্বর ভারশোঁ ইউনিয়নের আইওরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নেতাকর্মীদের দেখতে যান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বাবুল। এসময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন টুকু, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী কাবুল ও উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা।
এর আগে বুধবার রাতেই আহতদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপির সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমান মকে, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. ইকরামুল বারী টিপু, কুসুম্বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম মোর্শেদ চৌধুরী, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল জলিল, জেলা কৃষকদলের সদস্য ফজলুর রহমান বাবু, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শহিদুজ্জামান সালেক এবং যুবদলের নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয়রা জানান, একটি মাদ্রাসা নির্মাণকে কেন্দ্র করে মান্দা ও নিয়ামতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে গোপালচক গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক রজনীসহ ১২ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
গোলাম সাকলাইন চারু (৫৫), ভারশোঁ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক
লুৎফর রহমান (৫৫), ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক
তোফাজ্জল হোসেন (৩৮), ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি
বল্লেক কাগজি (৪৫), যুবদল নেতা
কাবিল সরকার (৫০)
সোহেল সরকার (৩৬)
আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তাঁরা চিকিৎসাধীন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর রহমান জানান, "খবর পাওয়ার পরই পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি, কারণ তারা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :