ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জ অংশে ঘটে গেলো এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীনগরের সমষপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পরেও থামেনি বাস—চালক আহত যাত্রীদের নিয়েই ১০ কিলোমিটার পথ চালিয়ে যান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়রা জানান, বরিশাল এক্সপ্রেস লিমিটেডের যাত্রীবাহী একটি বাস ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিল। শ্রীনগরের কামারখোলা এলাকায় একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এরপর সমষপুর এলাকায় পৌঁছে একটি প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে বাসটির ছাদ খুলে পড়ে যায় রাস্তায়।
যাত্রীরা চালককে বারবার থামতে অনুরোধ করলেও তিনি কোনো কথা না শুনে বাস চালিয়ে যেতে থাকেন। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি গাড়ির উপস্থিতি টের পেয়ে চালক বাসটি নিয়ে লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ এলাকায় সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার সামনে এসে থামেন। যাত্রীদের চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা ছাদবিহীন বাসটি আটক করে।
খবর পেয়ে পদ্মা সেতু উত্তর থানা, হাইওয়ে পুলিশ ও শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেন।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন জানান, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং ভয়াবহ দুর্ঘটনা। চালকের বেপরোয়া আচরণের কারণে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
এই ঘটনার পর থেকেই বরিশাল এক্সপ্রেসের ওই চালক পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের দাবি, এমন বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত যাতে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা এড়ানো যায়।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :