চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে খাগড়াছড়িতে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী।
শুক্রবার ভোর থেকে জেলা সদরের মধুপুর, পানখাইয়া পাড়া, চাবাই সড়ক ও নোয়াপাড়া এলাকায় এই অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।
এসব জায়গায় যৌথ বাহিনী টহল দিতে দেখা গেছে। এছাড়া সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এসপি আরেফিন জুয়েল বলেন, “আমরা অপহৃতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছি। এছাড়া খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি-ঢাকা ও খাগড়াছড়ি-রাঙামাটির সড়কে সড়কে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। অভিযান অব্যহত থাকবে।”
বুধবার সকালে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামে আসার পথে জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।
অপহৃতরা হলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ-পিসিপি চবির শাখা সদস্য রিশন চাকমা ও তার চার বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, “এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।”
এ ঘটনায় পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফকে দায়ী করছে জেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুন ত্রিপুরা।
তবে অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।
এদিকে, অপহৃতদের সুস্থ অবস্থায় নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যায়নরত পাহাড়ি শিক্ষার্থী, পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা।
একুশে সংবাদ/ব.জ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :