চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে অনার্স পড়ুয়া সাগরিকা খাতুন নামে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ সময় জীবননগর উপজেলার সুটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে৷ নিহত সাগরিকা খাতুন (২০) সুটিয়া গ্রামের স্কুলপাড়ার ইউনুস আলীর মেয়ে। সে দর্শনা সরকারি কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিল।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাগরিকা খাতুন পড়াশুনায় অত্যন্ত মেধাবী ছিল। গত ১২ এপ্রিল রাতে স্বর্ণের দুল কেনার দাবিতে মায়ের সাথে ঝগড়া করে সাগরিকা খাতুন। একই রাতে সে ৫টি ঘুমের ট্যাবলেটও সেবন করে। পরবর্তীতে সে অসু্স্থ হয়ে পড়লে ওই রাতেই তাকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে ১৫ এপ্রিল তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে আসার পর থেকে মা-মেয়ের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। শুক্রবার দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করে সাগরিকা খাতুন।
এ ব্যাপারে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস ঘটনার সততা নিশ্চিত করে বলেন, খবরটি শোনা মাত্র জীবননগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরবর্তীতে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়। শনিবার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা মর্গে প্রেরণ করা হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :