চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ছাগলে ক্ষেত খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের নজরেরটিলা এলাকায় এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং একজনকে গ্রেফতার করে। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাঙ্গুনিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইমরান হোসেনের নজরেরটিলা এলাকায় একটি ছাগলের খামার রয়েছে। খামারের একটি ছাগল আলীর আত্মীয় কামালের ক্ষেতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনার জেরে বিকেলে মোহাম্মদ আলী দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধভাবে ইমরানের ওপর হামলা চালায়। ইমরানকে রক্ষা করতে গেলে তার ভাতিজা সিপাত, মিজান ও ভাই ইকবাল হোসেনকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।
আহতরা হলেন—মরিয়মনগর ফুলগাজীপাড়া এলাকার মো. ইউসুফের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইমরান হোসেন (৩২), ভাতিজা সিপাত (২০), নজরেরটিলা এলাকার খোকনের ছেলে মো. মিজান (৩০) এবং ইমরানের ভাই ইকবাল হোসেন (৪৫)। আহতরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার পর রাতে ভুক্তভোগী হেলাল হোসেন রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলীকে (৪২) গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি মরিয়মনগর আদর্শ শেখপাড়া এলাকার মৃত আবু তালেবের ছেলে। মামলায় আরও অভিযুক্তরা হলেন—সৈয়দ আমান মাস্টারের ছেলে মো. আবদুর রহমান (৩৬), আবদুল করিমের ছেলে মো. ফারুক (২৪), হাফেজ সওদাগরের ছেলে ফাহিম (২৪), এবং রাকিব (২৯)। তাদের সবার বাড়ি পাঁচবাড়ি আদর্শ শেখপাড়া এলাকায়।
ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, “তারা একাধিকবার হামলা চালিয়ে আমাকে, আমার পরিবারের সদস্যদের এবং যারা আমাকে বাঁচাতে এসেছিলেন, তাদের ওপরও হামলা চালিয়েছে। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তারা আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ না এলে হয়তো প্রাণহানিও ঘটতে পারতো। আমি এই ঘটনায় জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুজন হালদার বলেন, “মামলার প্রধান অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।”
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :