যশোরের নাভারন-সাতক্ষীরা ও নাভারন-বেনাপোল মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘদিন ধরে দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় শতাধিক মৃত ও অর্ধ-মৃত রোডসাইড গাছ এখন জনসাধারণের জন্য চরম হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব গাছ যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। তবে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ ও মানববন্ধন সত্ত্বেও সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হালকা ঝড় কিংবা মাঝারি বাতাস হলেই এসব পচা ও দুর্বল গাছের ডালপালা রাস্তায় পড়ে দুর্ঘটনার সৃষ্টি করছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহন, আহত হচ্ছেন পথচারীরা। বিশেষ করে নাভারন বাজার, শার্শা থানা এলাকা এবং উলাশী বাজার এলাকায় এই গাছগুলোর সংখ্যা বেশি এবং অবস্থাও ঝুঁকিপূর্ণ।
নাভারন বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সবুর বলেন, “গত শতাব্দীর পুরনো এসব মরা গাছ এখন প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি করছে। আমরা বহুবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছি, কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। জেলা প্রশাসকের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
নাভারন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম আব্দুস সামাদ কাসেমী বলেন, “যশোর-বেনাপোল ও নাভারন-সাতক্ষীরা সড়কে অন্তত অর্ধশতাধিক মরা গাছ রয়েছে। বিশেষ করে শার্শা থানার সামনের দুইটি গাছ যে কোনো সময় রাস্তায় পড়ে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।”
এ প্রসঙ্গে যশোর জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার এম এ মঞ্জু বলেন, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব গাছ অপসারণ করা হবে।”
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরাও এই বিষয়ে একাধিকবার মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন। তবুও এখনো পর্যন্ত সওজ বিভাগের নিরবতা জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো অপসারণ করে পথচারী ও যানবাহনচালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক কর্তৃপক্ষ। নয়তো অদূর ভবিষ্যতে যে কোনো বড় ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :