নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গণপিটুনিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামি শান্ত (৩২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
শান্ত রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হিরনাল এলাকার বাসিন্দা ও জসিমউদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, নিহত শান্তের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চুরি, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৫টি মামলা রয়েছে। গত ১১ এপ্রিল মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবদল নেতা আসাদ ফকিরের সঙ্গে বিরোধের একপর্যায়ে শান্ত ও তার সহযোগীরা তাকে মারধর করে। এ ঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসী শান্তকে ধরে গণপিটুনি দেয় এবং পরে পুলিশে সোপর্দ করে।
আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই আইসিইউতে ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার জেরে নিহত শান্তর চাচা সালাউদ্দিন সরকার ৪০ জনকে আসামি করে এবং আসাদ ফকিরের বোন শিউলি আক্তার ২৮ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন।
সালাউদ্দিন বলেন, “পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে শান্তকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে আসাদ ফকির ও তার অনুসারীরা। শান্ত ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শেষ পর্যন্ত মারা গেল। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, “মারধরের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্দেহভাজন একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।”
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :