বাড়ির উঠানে মাদুর পেতে খোলা আকাশের নিচে বই খাতা নিয়ে ক্লাস করছেন গ্রামের প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক-কৃষানীরা। হাতে কলমে তাদের শেখানো হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব চাষাবাদের বিভিন্ন উপায়। নিরাপদ ফসল উৎপাদন ও কৃষি উদ্যোত্তা তৈরীর কৌশলও রপ্ত করানো হচ্ছে তাদের। কৃষক মাঠ স্কুল স্থাপন করে এমন প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে যা কৃষি ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে মানে করেন কৃষি বিভাগ।
নিরাপদ ফসল উৎপাদন, বীজ সংরক্ষন, উৎপাদিত পন্য বাজারজাত করণ, জৈবিক উপায়ে ফসলের পোকা মাকড় দমন ও উদ্যোক্তা তৈরীর লক্ষ্য নিয়ে পীরগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় পার্টনার ফিল্ড স্কুল পরিচালনা করছেন কৃষি বিভাগ। কৃষকের স্কুল নামে পরিচিত এই সব স্কুলে প্রান্তিক পর্যায়ের ২৫ জন করে কৃষক-কৃষানীকে হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। প্রদর্শনী প্লট করে মাঠ পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে নিরাপদ ফসল উৎপাদনের বিভিন্ন কৌশল দেখানো ও এটি কিভাবে করা যায় তাও শেখানো হচ্ছে। এতে উপকৃত হচ্ছেন প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক-কৃষানীরা।
এই কৃষক স্কুলের মাধ্যমে কৃষক-কৃষানীরা দক্ষতা অর্জন করছেন বলে জানান পীরগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা লায়লা আরজুমান বেগম। কৃষকের এইসব স্কুল প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক-কৃষানীদের নিরাপদ ফসল উৎপাদ, বাজারজাত করন, কৃষি উদ্যোক্তা তৈরী ও উন্নত কৃষি চর্চায় আগ্রহী করে করে তুলা এবং কৃষি ক্ষেত্রে ইতি বাচক পরিবর্ত আসবে এমনটা মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :