ক্রেতা হিসেবে পরিচয়ের সূত্র ধরে শুরু হওয়া সম্পর্ক পরিণতি নেয় পরকীয়ায়। শেষ পর্যন্ত গড়ায় ৪০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়েতে। এই ঘটনাই বুধবার রাত থেকে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। তবে ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন দাবি করেছেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
ঘটনাটি কোটচাঁদপুর পৌর শহরের ব্রীজঘাট মোড়ে অবস্থিত "ঢাকা ইলেকট্রনিক্স" শো-রুম কেন্দ্রিক। এই শো-রুমের মালিক আলমগীর হোসেন দুই সন্তানের জনক এবং দীর্ঘদিন ধরে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায় জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, শো-রুমে পণ্য কিনতে যেতেন আদুরি খাতুন (জাকিয়া), যিনি মালয়েশিয়া প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী। ক্রেতা হিসেবে যাতায়াতের মধ্য দিয়ে আলমগীরের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
আলমগীর জানান, আদুরি খাতুন তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন, বিশেষ করে যখন জানতে পারেন তার স্বামী দেশে ফিরছেন। কিন্তু আলমগীর শুরু থেকেই বিয়েতে রাজি ছিলেন না। এ নিয়ে মতানৈক্য চলতে থাকে। অবশেষে মঙ্গলবার কালিগঞ্জে আলমগীরের বাড়িতে বৈঠকের কথা বলে ডেকে নেয়া হয় তাকে। সেখানেই ৪০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে সম্পন্ন হয় বলে দাবি করা হচ্ছে।
তবে আলমগীর অভিযোগ করেছেন, তাকে ফাঁদে ফেলে জোরপূর্বক বিয়ে করানো হয়েছে। তার কথায়, “আমি বাসায় যাওয়ার পর কয়েকজন সাজানো মানুষ আমাকে ঘিরে ধরেন। জোর করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হয় এবং মোবাইল থেকে দুই লাখ ও নগদ এক লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আমি কাউকে চিনতেও পারিনি।”
আলমগীরের শ্যালক মনির হোসেন বলেন, “সে (আলমগীর) যে কাজ করেছে, তা কোনো মানুষ করতে পারে না। ১৫-১৮ বছর ধরে আমার বোনের সঙ্গে সংসার করছে, দুই সন্তানের পিতা—তারপরও এমন কাজ! আত্মীয়স্বজন যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই হবে।”
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর জানান, “ঘটনাটি কোটচাঁদপুর এলাকায় ঘটেনি। তবে আলমগীর থানায় এসে পরামর্শ নিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি “টক অফ দ্য টাউন”-এ পরিণত হয়েছে।
একুশে সংবাদ//কো.ঝি.প্র//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :