স্বৈরাচারী সরকারের আমলে বাকস্বাধীনতা ছিল না: অধ্যাপক শহীদুল

দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরাচারী সরকার মানুষের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছিল বলে মন্তব্য করেছেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম।

শনিবার বিকেলে মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, "হাসিনার শাসনামলে মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিল না, ভোটের অধিকার ছিল না। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে দেশে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। ক্ষমতায় টিকে থাকতে বারবার নির্বাচন কারচুপির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। ভারতের সহায়তা নিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে সরকার গঠন করা হয়েছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তার পতন ঘটেছে।"

তিনি আরও বলেন, "২০০৮ সালে নীলনকশার মাধ্যমে নির্বাচন কারচুপি করে সরকার গঠন করা হয়। ২০১৪ সালে বিনাভোটে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে ফের বাকশালের পথে হাঁটা হয়। ছাত্র-জনতা এবং বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গুম, পঙ্গু করা হয়েছে। এসব অপকর্মের জন্য একদিন স্বৈরাচারী সরকারের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে।"

তিনি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে একটি অবাধ জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনের দাবি জানান।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মিরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান শাহীন।
সম্মেলন শেষে খলিলুর রহমান জোয়ার্দ্দারকে সভাপতি, মতিউর রহমান মুসাকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাইফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক, ওহাব মেম্বারকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তৌহিদুল ইসলাম শহীদকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে তালবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়।

একুশে সংবাদ//মি.কু.প্র//এ.জে