ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। এখানে প্রতি দুই মাস অন্তর একটি নতুন ঋতুর আবির্ভাব ঘটে। প্রকৃতিতে এখন চলছে গ্রীষ্মের রাজত্ব। এই গ্রীষ্মের কড়া রোদে কৃষ্ণচূড়ার আবীর নিয়ে প্রকৃতি সেজে উঠেছে বর্ণিল রূপে।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার পথে প্রান্তরে ডানা মেলেছে রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া। প্রতিবছর গ্রীষ্মের শুরুতেই পথে প্রান্তরে এমন মুগ্ধতা ছড়ায় কৃষ্ণচূড়া ফুল। সবুজ পাতার ফাঁকে মোরগের লাল ঝুঁটির মতো ফুটেছে ফুল। যে দিকে চোখ যায় যেন সবুজের মাঝে লালের মূর্ছনা, প্রকৃতির এই অপরূপ সাজ দেখে দু’চোখ জুড়িয়ে যায়।

সরেজমিনে উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে রাস্তার পাশে, বাড়ির আঙিনায়, স্কুল কলেজের আঙিনায় কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙে রাঙিয়েছি প্রকৃতি। প্রখর উত্তাপ গায়ে মেখে রাস্তার দু’পাশে কৃষ্ণচূড়ার গাছে ফুলের সমারোহ রঙ ছড়িয়ে হয়েছে নানা বর্ণময়। টুকটুকে লাল উজ্জ্বল সবুজ পাতা দিয়ে নতুন রূপে প্রকৃতির অপরুপ রূপে সেজেছে হরিরামপুর।
পথচারী মাহমুদুল হাসান বলেন, মাথার উপর লাল ফুল পায়ের নীচে ঝরা ফুলের বিছানা দেখতে খুবই সুন্দর। সকালে এবং বিকেলে দেখলে এবং ছবি তুলতে বেশি ভালো লাগে। কৃষ্ণচূড়ার রুপে মুগ্ধ হয়ে পথচারীরাও চলার পথে ক্ষণিক থমকে তাকান।
ঝিটকা খাজা রহমত আলী কলেজের শিক্ষার্থী শিলা আক্তার বলেন, আমাদের এলাকার বিভিন্ন যায়গায় এখন অনেক কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটেছে। এই ফুলের সৌন্দর্যে প্রকৃতিতে এখন ভিন্ন রঙ এসেছে। এই ফুল যে কাউকে আকৃষ্ট করবে।
প্রকৃতিপ্রেমি আরিফুল ইসলাম বলেন, যাঁরা ফুলপ্রেমী মানুষ, তাঁদের কাছে কৃষ্ণচূড়া বেশ পছন্দের ফুল। বাংলা কাব্য, সাহিত্য ও সংগীতে এসেছে এই ফুলের কথা। শুধু কবিতা সাহিত্যি নয়, হরিরামপুর উপজেলার পথচারী থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের চোখ জুড়িয়ে দেয় কৃষ্ণচূড়া।
একুশে সংবাদ//মা.প্র//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :