সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অতি আগাম আবাদ করা বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। উপজেলার সলঙ্গা, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা মাঠে পাকা বোরো ধান কেটে ঘরে তুলছেন। বোরো (হাইব্রিড), বোরো (উফশী) এবং স্থানীয় জাতের ধানসহ নানা জাতের ধান এ বছর আবাদ করা হয়েছে। বিশেষ করে যারা আগাম আবাদের বোরো ধান করেছেন, তাদের ফলন ভালো হয়েছে বলে জানাচ্ছেন কৃষকরা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, এবারের মৌসুমে উল্লাপাড়া উপজেলায় ৩০,৩৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। উপজেলার প্রায় সব মাঠেই কম-বেশি পরিমাণে বোরো ধান আবাদ হয়েছে, যেখানে হাইব্রিড জাতের ধান বেশি ফলনশীল হয়েছে।
এবং, গত সাত দিন ধরে রামকৃষ্ণপুর ও সলঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা ধান কাটতে শুরু করেছেন। সলঙ্গা ইউনিয়নের বনবাড়িয়া, কুঠিপাড়া, বেতুয়া, গোজা, রাণীনগর এলাকার মাঠে কৃষকরা ধান কেটে ঘরে আনছেন। কৃষকরা জানান, এবারে বেশ ভালো হারে ধানের ফলন পেয়েছেন, যা তাদেরকে খুশি করেছে।
কুঠিপাড়া গ্রামের কৃষক রশিদ মিয়া এবং চৌবিলার কৃষকরা জানান, শুভলতা ধান কেটে মাড়াই করার পর বিঘা প্রতি প্রায় ২০ মণ হারে ফলন হয়েছে। অন্যদিকে, গোজা গ্রামের পাশাণ সরকার বলেন, কাটারীভোগ ধান বিঘা প্রতি প্রায় ২৫ মণ হারে ফলন হয়েছে।
এছাড়া, বোরো ধান কাটা কাজে গ্রামীণ মজুরদের চাহিদা বেড়েছে, এবং মজুরির দামও বাড়ছে। বর্তমানে একজন কামলার দিনে মজুরি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা হচ্ছে। গোজা গ্রামের আহেজ সরকার জানান, তারা বিঘা প্রতি ৩,৬০০ টাকা চুক্তিতে ধান কেটে কৃষকদের বাড়িতে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, কৃষকরা সঠিক সময়ে সঠিক পরিচর্যা করার ফলে ধানে কোনো রোগ-বালাই হয়নি। তারা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন যে, আগাম আবাদ করা ধান এবারে ভালো ফলন দিয়েছে।
একুশে সংবাদ//উ.সি.প্র//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :