নওগাঁর মান্দায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে দুই নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার পরানপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন: রেজাউল ইসলাম, শেফালি বিবি, দেলোয়ার হোসেন, খাদিজা বিবি, সোলাইমান আলী সরদার, হুমায়ন আলী, রায়হান আলী এবং খোদাবক্স মোল্লা। এদের মধ্যে রেজাউল ইসলাম ও খোদাবক্স মোল্লা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেশী আব্দুল হাকিম জানান, ১৪ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পারিবারিক বিরোধের কারণে পরানপুর গ্রামের হালিমা খাতুনকে মারধর করেন প্রতিবেশী খয়বর আলী, রায়হান আলী, রাবেয়া বিবি এবং শিউলি বেগম। এ সময় হালিমার স্বামী মফিজ উদ্দিন তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আসামিরা তার হাতে হাঁসুয়া দিয়ে আঘাত করে, ফলে মফিজের দুটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী হালিমা খাতুন বলেন, "মারধরের পর আমি ও আমার স্বামী মান্দা এবং রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। পুলিশ প্রথমে মামলা গ্রহণ করেনি, পরে নওগাঁ আদালতে মামলা করলে আদালত তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়।"
দেলোয়ার হোসেন, যিনি এই মামলার সাক্ষী ছিলেন, বলেন, "প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে ও আমার পরিবারকে মামলা সম্পর্কে হুমকি দিয়ে আসছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় আমি গোপালপুর বাজারের ঈদগাহের সংস্কার কাজের মিটিং শেষে বাড়ি ফিরছিলাম, তখন প্রতিপক্ষের সোলাইমান সরদার, রায়হান আলী, হুমায়ন আলীসহ ৮-১০ জনের একটি দল আমাকে হামলা করে। আমার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে সংঘর্ষ শুরু হয়।"
প্রতিপক্ষের সোলাইমান সরদার বলেন, "আমার ছেলে রায়হানকে মারধর ও তার মোটরসাইকেল ভেঙে দেওয়ার পর আমি তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে দেলোয়ারের লোকজন আমাদেরও মারধর করে। পরে আমরা বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে প্রাণ রক্ষা করি।"
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান জানান, "ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। উভয়পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে এবং তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।"
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :