AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

৯৬৭ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কালাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাময়িক বরখাস্ত


Ekushey Sangbad
আব্দুল্লাহ সউদ, কালাই, জয়পুরহাট
০৪:২১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

৯৬৭ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কালাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাময়িক বরখাস্ত

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯৬৭ জন শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গত রোববার(২৭ এপ্রিল) তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসের উপবৃত্তির টাকা বিতরণে মো. রফিকুল ইসলাম গুরুতর অনিয়ম করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা নির্ধারিত অভিভাবকের মোবাইল একাউন্টে পাঠানোর পরিবর্তে বেআইনিভাবে একাউন্ট পরিবর্তন করে নিজস্ব স্বার্থে অর্থ আত্মসাৎ করেন।

তদন্তে তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রমাণ মেলায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আদেশটি ২২ এপ্রিল ২০২৫ থেকে কার্যকর করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, বরখাস্তকালীন সময়ে মো. রফিকুল ইসলাম কেবলমাত্র খোরাকি ভাতা (Subsistence Allowance) পাবেন এবং অন্য কোনো সরকারি সুবিধা প্রাপ্য হবেন না। এছাড়াও বলা হয়েছে, সরকার দুর্নীতি ও প্রশাসনিক অনিয়মের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতি মেনে কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।

এলাকায় প্রজ্ঞাপন প্রকাশ পাওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কালাই পৌরশহরের দোকানদারপাড়া এলাকার অভিভাবক হাবিবুর রহমান বলেন,আমার ছেলে কালাই মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। কাগজপত্র ও মোবাইল নম্বর জমা দিয়েও একবারও উপবৃত্তির টাকা পাইনি। স্কুলের প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীই উপবৃত্তির টাকা পায়নি। শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষকরা মিলে এই টাকা আত্মসাৎ করেছে। শুধু শিক্ষা অফিসার নয়, হেড মাস্টারদেরও কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত।"

এদিকে কালাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ সততা বজায় রেখেছি। তদন্তে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রমাণ করবো।"

উল্লেখ্য, মন্ত্রণালয় এই আদেশের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহ,জেলা প্রশাসক,বিভাগীয় পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মো. রফিফুল ইসলাম সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন।



একুশে সংবাদ//ক.জ.প্র//এ.জে

Shwapno
Link copied!