# তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান
# হত্যাকান্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত বিউটির খালা ও খালু
# ৫০হাজার টাকা নেয় বিউটির খালা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার এনায়েতপুরের স্বামী পরিত্যক্তা বিউটি খাতুন (২২) কে শ্বাসরোধে হত্যার রহস্য দীর্ঘদিন পর হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পিবিআই।
হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গ্রেফতারকৃত তিন আসামী শুক্রবার (২৬মে)শাহজাদপুর উপজেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম রব্বানী-এর নিকট ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার বিধান অনুসারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
শাহজাদপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সিএসআই মো. আসলাম আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন দীর্ঘ সময় তিনজন আসামী বিউটি হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
উক্ত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দিগ্ধ ও গ্রেফতারকৃত আসামি এনায়েতপুর থানাধীন খোকশাবাড়ী গ্রামের মৃত আমির হোসেনের পূত্র মো. স্বপন ব্যাপারি, ব্রাহ্মনগ্রামের বাসিন্দা মো. জসিম উদ্দিনের পূত্র মো. মোমিন এবং তার ২য় স্ত্রী মোছা. আনু বেগম।
আদালতসূত্রে জানা যায়, স্বামী পরিত্যক্তা বিউটি খাতুনের সাথে খোকশাবাড়ী গ্রামের মৃত আমির হোসেনের পূত্র মো. স্বপন ব্যাপারি ও ব্রাক্ষনগ্রাম সাকিনের মো. আব্দুর রাজ্জাকের পূত্র মো. ফারুক হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তির সাথে পরকীয়া সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। উক্ত পরকীয়া সম্পর্কের জেরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ফলে গর্ভধারণ করেছে মর্মে দাবি করত নিহত বিউটি খাতুন আসামি স্বপন ব্যাপারিকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। নিহতের অব্যাহত চাপের মুখে স্বপন ব্যাপারি কোনো উপায় না পেয়ে বিউটি খাতুনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। উক্ত পরিকল্পনার প্রেক্ষাপটে পরকীয়া প্রেমিক আসামি স্বপন ব্যাপারি ও ফারুক হোসেনদ্বয় বিউটি খাতুনের আপন খালা ব্রাহ্মনগ্রামের বাসিন্দা কোমেদ মীর এর স্ত্রী মাদক ব্যবসায়ী আন্না বেগমকে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রদান করে। এরপর উক্ত আসামিগণসহ নিহত বিউটি খাতুনের অপর আপন খালা আনু বেগম ও নিহতের আপন খালু ও আনু বেগমের স্বামী মো. মোমিন পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে ২০১৮ সালের ২০ মে রবিবার গভীর রাতে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে বিউটি খাতুনকে হত্যা করে।
উক্ত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের পিতা ব্রাহ্মনগ্রাম পশ্চিমপাড়া মহল্লার দরিদ্র সাচ্চু মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। বাদীর দায়েরকৃত মামলায় পরকীয়া প্রেমিক আসামি ফারুক হোসেন প্রথমে গ্রেফতার হলেও মামলাটির প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত না হওয়ায় উহার তদন্তের দায়িত্ব পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), সিরাজগঞ্জ-এর উপর অর্পন করা হয়।
তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই দীর্ঘ তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আসামিদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে এবং জড়িত আসামিদের মধ্যে তিনজন আসামি শুক্রবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। শাহজাদপুর উপজেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম রব্বানী দীর্ঘক্ষণ যাবৎ আসামিদের জবানবন্দি রেকর্ড করার পর আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ফয়সাল আহমেদ এর মুঠোফোনে বার বার কল করা হলেও রিসিভ করেননি।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :