এক আজব চোরের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। যার টার্গেট বিউটি পার্লার। কখনো সে বিউটিশিয়ান সেজে, কখনো আবার নিজেই সাজতে গিয়ে পার্লারে আসা নারীদের গহনা, মোবাইল ও নগদ টাকা নিয়ে দেন চম্পট! রাজধানীর কেরানীগঞ্জে চারটি বিউটি পার্লারে ঘটা চুরির পর অবশেষে সে আজব চোর ধরা পড়েছে পুলিশের কাছে।
কেরানীগঞ্জের একটি বিউটি পার্লারে গেল ১৬ সেপ্টেম্বর ফেসিয়াল করাতে আসেন এক নারী। বিউটিশিয়ান তাকে তার গলায় এবং কানে থাকা স্বর্ণালংকার খুলে রাখতে বলেন। বিউটিশিয়ানের কথা মতো তিনি সব খুলে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগে রাখেন।
মুখে ফেসপ্যাক, চোখে শসা। এ অবস্থায় চোখ বন্ধ করে রাখতে বলেন প্রায় ত্রিশ মিনিট। আর এ ফাঁকেই ঘটে অঘটন। চোখ খুলে ওই নারী দেখতে পান তার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে গেছেন বিউটিশিয়ান। একই কায়দায় কয়েক দিনের ব্যবধানে কেরানীগঞ্জের চারটি পার্লারে ঘটে একই রকম চুরির ঘটনা।
এ চারটি ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ এক আজব চোরের সন্ধান পায়। নাম বিথী আক্তার। তাকে গ্রেফতারের পর তার চুরির ধরন সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক অলক কুমার দে জানান, পার্লারে সাধারণত সিসিটিভি ক্যামেরা থাকে না। ফলে আসামি ধরা এখানে চ্যালেঞ্জিং। তবুও যখন বিথী আক্তারকে শনাক্ত করা গেলো, তখন তিনি নিজে চুরি করেছেন এমনটা অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি চুরির পক্রিয়ার কথা স্বীকার করেন।
তিনি পুলিশকে জানান, বিথী আক্তার নামে ভুয়া ঠিকানা দিয়ে কখনো বিউটি পার্লারে কাজ শিখতে এসে, কখনো আবার নিজেই ফেসিয়াল করতে এসে টার্গেট করেন। খুঁজতে থাকেন একটা ভালো কাস্টমার। এরপর সুযোগ বুঝে পার্লারে সাজতে আসা নারীদের স্বর্ণালংকার ও ব্যাগে থাকা টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে যান।
পুলিশ বলছে, বিথীর কাছ থেকে এ চারটি পার্লারে চুরির বাইরে আরও একাধিক চুরির তথ্য পেয়েছে তারা।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :