এটিএম কার্ড বদলে টাকা হাতিয়ে নিতো তারা। অবশেষে শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, ব্যাংকের এটিএম কার্ড বদল করে মানুষের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো তারা।
এই প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত মূল হোতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী প্রতারিত হবার পর জানা সামনে আসে প্রতারক চক্রটি ২০১৫ সাল থেকে প্রতারণায় হাত পাকিয়েছে।
মূলত ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা তুলতে আসা নারী ও বৃদ্ধদের টার্গেট করে কার্ড বদলে নিতো প্রতারকরা।
ডাচ বাংলা ব্যাংকেরে ওই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় প্রতারক শহিদুল একটি বুথে গিয়ে সেই বুথের মেশিনে মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যুক্ত করে। পরে একজন গ্রাহক টাকা তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতারক শহিদুল সাহায্য করার নাম করে তার কার্ডটি নিয়ে মুহূর্তেই সেটি বদলে ফেলে। সাথে পিন নাম্বার হাতিয়ে নেয়। পরে প্রতারক সব টাকা তুলে নেয়।
ভুক্তভোগী ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জানান, প্রতারক আমাকে বললো, কার্ডটা দেন, আমি সহায়তা করি। এরপর সে তার হাতে থাকা আরেকটি কার্ডের সাথে এই কার্ডটি মুহূর্তে বদলে ফেলে। পরে আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই- সে আমাকে তার হাতে থাকা অন্য কার্ডটি দিয়ে চলে যায়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ জানান, প্রতারক শহিদুল ও তার সহযোগীরা ২০১৫ সাল থেকে এই কাজ করে আসছে। কখনো পাঁচ লাখ কখনো দশ লাখ বা কখনো তারও বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। পুলিশ বিষয়টি জানতে পারে যখন এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী এই প্রতারণার শিকার হন।
হারুন অর রশিদ বলেন, এই চক্রটি বৃদ্ধ ও নারীদের বেশি টার্গেট করতো। তারা সহায়তার কথা বলেই মানুষকে ফাঁদে ফেলে।
ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তোলার সময়ে অপরিচিত কারও সহযোগিতা নেয়া থেকে গ্রাহকদের বিরত থাকার আহ্বান জানান ডিবি প্রধান।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/না.স
আপনার মতামত লিখুন :