অভিযোগের শেষ যেন কোনো অংশেই কমতি নেই পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আব্দুল মাবুদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ইতোপূর্বে তাদের দু’জনের নামেই মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করেও অভিযুক্তদের কোনো বক্তব্যে পাওয়া যায়নি।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে গত ১৬ জুন ২০২১ সালে আব্দুল মাবুদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করা হয়। মূলত ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আব্দুল মাবুদ খান ও তার স্ত্রী নাসিমা খানের বিরুদ্ধে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আব্দুল মাবুদ খান ৪ কোটি ৭২ লাখ ৩৬ হাজার ২১৬ কোটি টাকার অবৈধ উৎসকে বৈধ দেখানোর জন্য তার স্ত্রী নাসিমা খানের সঙ্গে পারস্পারিক যোগসাজশে জালজালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা ও ননজুডিশিয়াল স্টাম্প ও হলফনামা সৃজন ও সম্পাদন করে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকার মিথ্যা দান ও ঋণ দেখিয়েছেন। এ ছাড়া বৈধ উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ তথা জ্ঞাতআয়বহির্ভূত ৪ কোটি ৭২ লাখ ৩৬ হাজার ২১৬ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৫ টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রেখে উত্তোলন করেছেন।
ওই সময় দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরকে উৎস ধরে তদন্তে নামে সংস্থাটি। এরপর দীর্ঘ অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই মামলা করে দুদক। এর মধ্যে এবি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখায়ই তাদের ১৬টি এফডিআর বা স্থায়ী আমানতের সন্ধান পান গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিসের কর্মকর্তা সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আব্দুল মাবুদ ২০০৯ সালে পাসপোর্টের ডিজির দায়িত্ব নিয়ে ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর তিনি অবসরে যান। তার বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের কন্দর্পপুর গ্রামে। এরপর একটি ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন।
তিনি পাসপোর্টের ডিজি পদে যোগ দেওয়ার আগে তার এবং তার স্ত্রী নাসিমা খানের নামে চারটি ব্যাংক হিসাব ছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে ডিজি হওয়ার পর থেকেই তাদের নামে একাধিক ব্যাংকে হিসাব খোলা শুরু হয়। এর মধ্যে এবি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখাতেই তাদের ১৬টি এফডিআর বা স্থায়ী আমানতের সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা। ২০২১ সালে গুলশানের একটি ব্যাংকে তার হিসাবে কয়েক কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া যায়।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :