‘চোরাকারবারিদের সিন্ডিকেট স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে দিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি বলেন, একাধিক সিন্ডিকেট স্বর্ণ পাচারের সাথে জড়িত। কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে বাজারে প্রতিনিয়ত সোনার দাম বাড়ানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন বাজুস প্রেসিডেন্ট।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন সঙ্কট, মার্কিন ডলারের মাত্রাতিরিক্ত দাম ও সঙ্কটসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার ঊর্ধ্বমুখী দাম এবং অব্যাহতভাবে বেপরোয়া চোরাচালানের ফলে বহুমুখী সঙ্কটে পড়েছে জুয়েলারি শিল্প। দেশে চলমান ডলার সঙ্কট ও অর্থপাচারের সাথে স্বর্ণ চোরাচালানের সিন্ডিকেটগুলোর সম্পর্ক আছে। এমতাবস্থায় স্বর্ণের বাজারের অস্থিরতার নেপথ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোড়ালো অভিযান ও শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ’
‘কোনো দুষ্কৃতিকারী, চোরাকারবারি যাতে দেশ বিরোধী ও অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে সে লক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। অনেক চোরাকারবারিকে আইনের মুখোমুখি করা হয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ছে,' বলে জানান সায়েম সোবহান আনভীর।
বিবৃতিতে সায়েম সোবহান আনভীর অবৈধ উপায়ে কোনো চোরাকারবারি যেন সোনা বা অলংকার দেশে আনতে ও পাচার করতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন। এ ছাড়া উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের ২৫ শতাংশ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের সদস্যদের পুরস্কার হিসেবে প্রদানের অনুরোধ জানান বাজুস প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, ‘মূলত চোরাচালান প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমূহের সদস্যদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বাজুসের এই প্রস্তাবনা। বাজুসের এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও বেগবান হবে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় কমবে। ’
একুশে সংবাদ.কম/জা.হা
আপনার মতামত লিখুন :