‘আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বাড়ায় আমদানিতে খরচ বাড়ছে। ফলে ঈদের পর চিনির দাম কিছুটা বাড়তে পারে।’
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সচিবালয়ে আয়ুর্বেদিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এক সভা শেষে এ কথা বলেন৷
তিনি বলেন, ‘ট্যারিফ কমিশনের হিসাব মতে বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় চিনি আমদানিতে খরচ বেশি হচ্ছে৷ আমাদের দেশের ৯৯ শতাংশ চিনিই আমদানি নির্ভর৷ ঈদের আগে দাম বৃদ্ধি বা কমানো নিয়ে আর বসার সুযোগ নেই৷ ঈদের পর চিনির দাম সমন্বয় করা হবে৷’
মন্ত্রী বলেন, ‘এখনই চিনির দাম বাড়াতে চাই না৷ ভোক্তা অধিকারকে বলব তারা বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখবে৷ কেউ ঈদের আগে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ আমাদের চেষ্টা আছে চিনির দামের ওপর ভ্যাট কমানো হবে৷’
তিনি বলেন, ‘আমরা ছোটবেলায় মা বলতেন কালোজিরা বেটে ভাতের সঙ্গে খেতে৷ এতে শরীর ভালো থাকে৷ হাজার হাজার বছর ধরে লতাপাতা দিয়ে চিকিৎসা করে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা সুস্থ থেকেছেন৷ আমাদের হাজার বছরের চিকিৎসার ইতিহাসে আয়ুর্বেদের সম্পৃক্ততা রয়েছে৷ এ খাতে সামনে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে৷ অ্যান্টিবায়োটিক খেতে খেতে এক সময় আমাদের শরীর অকেজো হয়ে পড়বে৷ এর বিপরীতে প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতিই বেশি উপকারি৷’
তিনি আরো বলেন, ‘আয়ুর্বেদ নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা করার প্রয়োজন আছে৷ আমরা প্রচারে অনেক পিছিয়ে আছি৷ মানুষ যেন এটি ব্যবহার করতে শুরু করেন৷ এটা নিয়ে গবেষণা করারও প্রয়োজন রয়েছে৷ এতে আমাদের অ্যান্টিবায়োটিক নির্ভরতা কমবে৷ দেশের ফরেন কারেন্সিতেও পরিবর্তন আসবে৷’
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন আয়ুর্বেদ গ্রহণ করলে তখন দেশের বাইরেও এ ধরনের ওষুধ বা কাঁচামাল রপ্তানি করা যাবে৷’
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :