বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতায় সম্প্রতি অস্থির হয়ে উঠেছে কাঁচা মরিচের বাজার। বৃষ্টির আগেও যে মরিচের দাম ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি। অথচ বৃষ্টির কারণে সে মরিচের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার টাকা থেকে ১২শ’ টাকায়। যদিও আমদানি শুরুর খবরে সোমবার কাঁচা মরিচের দাম নেমেছিল ২০০ টাকার ঘরে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ফের বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে।
কারওয়ান বাজারের মরিচ ব্যবসায়ী রাসেল আহম্মেদ বলেন, বৃষ্টির কারণে দেশি মরিচের সরবরাহ কম থাকায় আমদানির পরেও দামে লাগাম টানা যাচ্ছে না। সরবরাহ কম হওয়াতে একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বেড়ে গেছে।
এসময় দেখা যায়, এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকা। আর এক কেজি বিক্রি করছেন ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। আবার কোনও কোনও দোকানি এক পোয়া মরিচ ১০০ টাকাও বিক্রি করছেন।
এ বিষয়ে পাইকারি কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী আবির হোসেন জানান, ‘সরবরাহ কম হওয়ায় পাইকারিতেও ফের কাঁচা মরিচের দাম বাড়ল। এখন প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি মরিচের দাম পড়ছে ২৪০ টাকা। আর ভারত থেকে আমদানি হওয়া কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকা পাল্লা। সোমবার মরিচের দাম ৮০০ টাকা পাল্লায় নেমেছিল।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের মরিচ সামান্য পরিমাণে আমদানি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে দেশি মরিচের সরবরাহ অনেক কম। এ কারণে হুট করে আবারও দাম বেড়ে গেল। কারণ সরবরাহের উপর কাঁচামালের দাম ওঠানামা করে। ঈদের পর এক পাল্লা মরিচ ৩ হাজার টাকায় উঠেছিল। এখন অর্ধেকে নেমেছে।’
দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে কাঁচা মরিচের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। ঈদের আগে হঠাৎ অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। তখন দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও ঈদের ছুটিতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় ফের অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছিল মরিচের বাজার।
একুশে সংবাদ/জ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :