AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বিদায়ী ৪৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০২:০৮ পিএম, ১০ জুলাই, ২০২৩
বিদায়ী ৪৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি

এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে রাজস্ব ঘাটতির রেকর্ড গড়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব বোর্ড আদায় করতে পেরেছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। সে হিসাবে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে কর আদায় বেড়েছে ৮ শতাংশ। এর ফলে টানা ১১ বছরের মতো রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হলো এনবিআর।

 

বিদায়ী অর্থবছরের শুরুতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সময় তা বছর শেষে আদায় করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদেরা। বছর শেষে তারই প্রতিফলন দেখা গেছে। রাজস্ব আদায়ের তিনটি খাতই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক পিছিয়ে ছিল।

 

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৯১ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। এ খাতে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। একই সময়ে স্থানীয় পর্যায়ে মূসক আদায়ে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে ঘাটতি ১৬ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। এ সময় আয়কর ও ভ্রমণ কর আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। ঘাটতি ৯ হাজার ১৭৮ কোটি টাকার।

 

এনবিআর সূত্র জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় বিদায়ী অর্থবছরে তিনটি খাতেই প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আমদানি-রপ্তানি পর্যায়ে ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, স্থানীয় পর্যায়ে মূসক খাতে ১১ দশমিক ২৭ শতাংশ ও আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ ছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরের মোট রাজস্ব আদায়ের তুলনায় বিদায়ী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ১২ শতাংশ। ওই অর্থবছর ৩ লাখ ৮৫২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। ঘাটতি ছিল ২৮ হাজার কোটি টাকা। তবে সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে তার চেয়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে ঘাটতি।

 

এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতি এনবিআর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। করোনাভাইরাস মহামারি-পরবর্তী সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক চিত্র পরিবর্তন করে দিয়েছে। ডলার-সংকটের জেরে সরকার আমদানি নিরুৎসাহিত করেছে, মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছে। সার্বিকভাবে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ও আয় কমে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ে বড় প্রভাব পড়েছে।’

 

এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও আইএমএফের সাবেক অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, ঘাটতি বিষয়ে আমরা যা ধারণা করেছিলাম, তার তুলনায় ঘাটতি আছে। ৩ লাখ ৩০ থেকে ৩ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হবে বলে ধারণা করেছি। সেটাও হয়নি। রাজস্ব আদায় বাড়াতে এনবিআরের সংস্কার প্রয়োজন।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

Link copied!