হঠাৎ করেই ঊর্ধ্বমুখী ডিমের বাজার। প্রতি ডজন মুরগির লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি পিস ডিম কিনলে গুনতে হচ্ছে ১৫ টাকা।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, আগানগর ও রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
এমনিতেই অস্থির নিত্যপণ্যের বাজারে নাজেহাল ভোক্তারা। নিম্নবিত্তরা বাজারে যেতেই পারছেনা মধ্যবিত্তদের নাভিশ্বাস আরেকটু বাড়িয়ে দিতে এবার বাড়ল ডিমের দাম। বাজারে প্রতি পিস মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা পর্যন্ত।
হাতিরপুল কাঁচা বাজারের বিক্রেতা আব্দুস সালাম জানান, দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা ডজন দরে। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। সোনালী মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের শত বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকায়।
কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাজারের বিক্রেতা আলিম হোসেন বলেন, ‘করপোরেট ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিমের দাম বাড়াচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে খুচরা বাজারেও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
এদিকে ডিমের ঊর্ধ্বমুখী দামে হতাশ ক্রেতারা। তারা বলেন, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে আমিষের চাহিদা মেটানোর অন্যতম উপাদান ছিল ডিম। তবে সেই ডিমও এখন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
শিক্ষার্থী আতিক হোসেন বলেন, ‘ব্যাচেলরদের খাবারের মেন্যুর অন্যতম উপকরণ ডিম। অর্থের অভাবে অনেকের ভালো কিছু কিনে খাওয়ার সামর্থ্য না থাকায় ডিম ছিল একমাত্র ভরসা। সেটিও এখন সিন্ডিকেটের কবলে।’
ক্রেতা তানজিনা খাতুন বলেন, ‘বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম হুহু করে বাড়ছে। এতে ডিমের দাম বাড়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বাজারে চলমান সিন্ডিকেট বন্ধ না করতে পারলে সামনের দিনগুলোতে দাম আরও বাড়বে।’
এদিকে ডিমসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের হস্তক্ষেপ চান খুচরা ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা। তাদের দাবি, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে নিয়ন্ত্রণে আসবে ভোগ্যপণ্যের দাম।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :