গত সপ্তাহে হুট করেই কেজিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকা বেড়ে যায় কাঁচা মরিচের দাম। বিক্রি হচ্ছিল ২৩০ থেকে ২৭০ টাকায়। তবে রোববার থেকে দাম কমতে শুরু করেছে। এ দিন রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে, মরিচের দাম কমলেও এখনও সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে এখনও মিলছে না আলু ও পেঁয়াজ। এতে ক্ষুব্ধ ভোক্তারা। তবে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা ডজনে।
বিক্রেতারা বলছেন, সরকারি ছুটির কারণে তিনদিন আমদানি বন্ধ থাকায় হঠাৎ বেড়েছিল কাঁচা মরিচের দাম। রোববার থেকে আমদানি শুরু হওয়ায়, তা আবার কমতে শুরু করে। বাজারে দেশি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। আর ভারতীয় মরিচ মিলছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে।
এর আগে, গত জুনের মাঝামাঝি কাঁচা মরিচের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছিল। দেশের কোনো কোনো স্থানে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয় হাজার টাকার বেশি দামে। এরপর মরিচ আমদানি করে বাজার স্বাভাবিক করা হয়।
উল্লেখ্য, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে হিমশিম অবস্থার মধ্যে গত ১৪ সেপ্টেম্বর চারটি পণ্যের দাম বেঁধে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম নির্ধারণ করা হয় ৩৫ টাকা। আর প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, ডিম প্রতি পিস ১২ টাকা আর প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ঘোষণা করা হয় ১৬৯ টাকা।
সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকরে সারা দেশের বিভিন্ন বাজারে লাগাতার ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান চলছে। অতিরিক্ত দামে আলু বিক্রি করায় কোল্ড স্টোরেজ মালিকসহ বহু ব্যবসায়ীকে করা হচ্ছে জরিমানা। তারপরও বাজারে তেমন একটা প্রভাব পড়েনি।
রোববার রাজধানীর বাজারে দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত দাম ৩৫ টাকা হলেও আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। দেশি পেঁয়াজ ৮৫ আর আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকার ওপরে। ক্রেতাদের অভিযোগ, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :