রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে হু হু করে বাড়তে থাকে জ্বালানি তেলের দাম। এবার ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত শুরুর পরও এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো। বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, আজ সোমবার প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড বিক্রি হচ্ছে ৮৬ দশমিক ৬৫ ডলারে এবং প্রতি ব্যারেল ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড বিক্রি হচ্ছে ৮৮ দশমিক ৩৯ ডলারে।
যদিও ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন তেল উৎপাদন করে না। তবে বিশ্বব্যাপী মোট জ্বালানি তেল সরবরাহের প্রায় এক তৃতীয়াংশ আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে।
এএনজেড গ্রুপের ব্রায়ান মার্টিন এবং ড্যানিয়েল হাইনেস বলেন,‘বাজারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সংঘাত এখনো চলছে। এই সংঘাতে মধ্যপ্রচ্যের অন্যান্য অঞ্চলের জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে কি না সেটি গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে বাজারগুলো এমন পরিস্থিতি সামলে নেবে। তবে অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে।’
এসপিআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের স্টিফেন ইনস বলেছেন,‘ইতিহাস বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মধ্যপ্রাচ্যে কোনো সংকটের পর তেলের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে।’
শনিবার ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। পরে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এরই প্রভাব পড়েছে জ্বালানি তেলের ওপর। হামাসের আক্রমণের পর গাজায় ইসরায়েলের লাখো সেনা মোতায়েন, ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা পাঠানো এবং হামাসকে ইরানের সমর্থন—সবমিলিয়ে এ অঞ্চলে সংঘাত আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
এর আগে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। হামলা চালানোর জেরে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে পশ্চিমা দেশগুলো। আর দুই পক্ষের যুদ্ধের পর বিশেষ করে ইউক্রেন থেকে রপ্তানিযোগ্য খাদ্যপণ্য অন্য দেশে না যেতে পারায় দাম বাড়তে থাকে এসব পণ্যের। এ ছাড়া রাশিয়া ও সৌদি আরব কয়েক দফায় তেলের উৎপাদন কমানোয় সরবরাহ কমে যায়। যার প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ে।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :