ইসরায়েল ও হামাসের সংঘর্ষে বৈশ্বিক পণ্যবাজারে চাপ বেড়েছে। জ্বালানি তেলের সরবরাহকে প্রভাবিত করতে পারে এ পরিস্থিতি, এর মধ্যে দামও বেড়েছে কিছুটা। অন্যদিকে স্বর্ণের মতো সঞ্চয়যোগ্য নিরাপদ সম্পদও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। খবর রয়টার্স।
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৪ শতাংশ বেড়েছে। লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে (এলএমই) স্পট গোল্ড ও বেঞ্চমার্ক কপার এক সপ্তাহের মধ্যে শীর্ষে চড়েছে। একই সময়ে প্রাকৃতিক গ্যাস, চিনি ও গমসহ বেশ কয়েকটি পণ্যে চাপ দেখা যাচ্ছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ব্যারেল প্রতি দাম ৩ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ৮৭ ডলার ৮৯ সেন্ট হয়েছে। অন্যদিকে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড প্রতি ব্যারেলে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৮৬ ডলার ৩৮ সেন্ট হয়েছে।
গত শনিবার (৭ অক্টোবর) কয়েক দশকের মধ্যে ইসরায়েলের ওপর সবচেয়ে বড় সামরিক হামলা শুরু করে হামাস। এর প্রতিক্রিয়ায় যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। এ সহিংসতার কারণে সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে চলমান মার্কিন প্রচেষ্টা গতি হারাতে পারে।
গত শুক্রবার (৬ অক্টোবর) হোয়াইট হাউসকে সৌদি কর্মকর্তারা বলেছিলেন, প্রস্তাবিত ইসরায়েল চুক্তির অংশ হিসেবে আগামী বছর জ্বালানি তেলের উৎপাদন বাড়াতে ইচ্ছুক তারা।
এদিকে স্পট গোল্ডের দাম প্রায় ১ শতাংশ বেড়ে আউন্স প্রতি এক হাজার ৮৪৮ ডলার ১৫ সেন্টে দাঁড়িয়েছে। যা গত ২৯ সেপ্টেম্বরের পর থেকে সর্বোচ্চ। যদিও মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গত শুক্রবার স্বর্ণের চাহিদা সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল।
আরজেও ফিউচারসের বাজার বিশেষজ্ঞ বব হ্যাবারকর্ন বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে পরবর্তীতে কী ঘটতে পারে তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তবে সংঘাত আরো বাড়লে স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯০০ ডলারের দিকে যেতে পারে।
এদিকে তামার দাম এক সপ্তাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। যদিও প্রধান ভোক্তা চীনে চাহিদা কমার প্রভাব এখনো রয়ে গেছে। লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে বেঞ্চমার্ক কপারের দাম শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি টনে আট হাজার ৮৫ ডলার হয়েছে। তবে ২ অক্টোবর দাম ছিল সর্বোচ্চ আট হাজার ১৮২ ডলার।
অপরিশোধিত চিনির দাম প্রতি পাউন্ডে প্রায় ১ শতাংশ অর্থাৎ ২৭ সেন্ট বেড়েছে।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :