দেশের শীর্ষস্থানীয় নিত্য-ব্যবহার্য ও ভোগ্যপণ্য (এফএমসিজি) উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল), ১৪তম বারের মতো তাদের ফ্ল্যাগশিপ বিজনেস কম্পিটিশন ‘বিজমায়েস্ত্রোজ’ এর আয়োজন করেছে।
গত মাসে ‘ইনোভেটিং ফর পিপল অ্যান্ড প্লানেট’ শীর্ষক এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্নাতক শিক্ষার্থীদের অন্যতম প্রতীক্ষিত একটি বিজনেস কম্পিটিশন হলো ‘বিজমায়েস্ত্রোজ’, যা সমগ্র দেশের স্নাতক ব্যাচের শিক্ষার্থীদের এক অনন্য যাত্রার মাধ্যমে করপোরেট বিশ্বের জন্য তৈরি করে। রিয়েল-লাইফ বিজনেস কেইস সল্যুশন বা বাস্তব-জীবনে ব্যবসায়িক সমস্যার সমাধান, মেন্টরশিপ সেশন বা পরামর্শ প্রদান, এবং ইউনিলিভার- এর ব্যবসার গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে জানানোর মাধ্যমে এসব শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা হয়। যাত্রার শুরু থেকেই ইন্ডাস্ট্রির জন্য অসংখ্য প্রতিভাতৈরির জন্য বেশ পরিচিতি লাভ করেছে এই প্রতিযোগিতাটি।
‘বিজমায়েস্ত্রোজ’ এর মাধ্যমে স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা ইউনিলিভারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সত্যিকারের ব্যবসায়ের কেস স্টাডি সম্পর্কে জানা-বোঝার সুযোগ পায়। এ প্রতিযোগিতার তিনটি চ্যালেঞ্জিং ও প্রতিযোগিতামূলক পর্বের মধ্যে, প্রথম পর্ব অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সারা দেশ থেকে২০০ টিরও বেশি দল অনলাইনে তাদের আবেদন পাঠায়।
দ্বিতীয় পর্বে জয়ী হয়ে ১০০ জন শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে ৩০টি দল ইউবিএল- এর সিনিয়র ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পায়। প্রতিটি টিম ভোক্তাদের দৃষ্টিভঙ্গি, পণ্য বিক্রির উদ্দেশ্য এবং ব্যবসায়ের একটি মূল কৌশল হিসেবে কিভাবে পণ্যের স্থায়িত্ব বাড়াতে হয়, তা শেখার মাধ্যমে একটি এফএমসিজি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা লাভ করে। বিজমায়েস্ত্রোজ- এর পুরো যাত্রায়, অংশগ্রহণকারীদের এইচআর, ফিন্যান্স, মার্কেটিং এবং সেল্স- এর মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তবিক ব্যবসায়িক কার্যক্রমগুলো নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করার মাধ্যমে ভবিষ্যতের কর্মসংস্থানের জন্য প্রস্তুত করা হয়, যা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখার এবং কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় মূল দক্ষতাগুলির মধ্যকার ঘাটতি পূরণ করে।
সম্প্রতি দ্বিতীয় রাউন্ডের বাছাইপর্বের দলগুলোর জন্য দিনব্যাপী বুটক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল যেখানে তারা তাদের ভবিষ্যত পেশার বিভিন্ন দিক এবং ইউনিলিভারে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন সে সম্পর্কে জানতে পেরেছে, এবং ইউবিএল এর ম্যানেজারদের কাছ থেকে দক্ষতা বৃদ্ধির সেশনে অংশ নিয়েছে যা ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা এবং চাকরির মূল্যায়নে সফল হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে, প্রতিযোগী দলগুলো প্রকৃত ভোক্তা গবেষণা (রিয়েল কনজিউমার রিসার্চ) এবং সম্ভাব্যতা বিশ্লেষণ (ফিজিবিলিটি অ্যানালাইসিস) পরিচালনার উপর ভিত্তি করে একটি এন্ড-টু-এন্ড ব্যবসায়িক সল্যুশন প্রদানে কাজ করবে। পরে তারাইন্ডাস্ট্রির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি ও ইউনিলিভার ব্যবস্থাপনার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের একটি প্যানেলের কাছে তাদের কেইস উপস্থাপন করবে। বিজমায়েস্ত্রোজ-এর বিজয়ীরা ‘ইউনিলিভার ফিউচার লিডারস লিগ’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে এবং ইউনিলিভারের ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি প্রোগ্রামের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে তারা এগিয়ে থাকবে।
এ উদ্যোগের লক্ষ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইউবিএল- এর এইচআর ডিরেক্টর সৈয়দা দুরদানা কবির বলেন, “ইউনিলিভারে আমাদের জন্য,বিজমায়েস্ত্রোজ শুধুমাত্র আরেকটিগতানুগতিক ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা নয়। ‘লিডিং এমপ্লয়ার অব চয়েস’ অর্থ্যাৎ পছন্দের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় নিয়োগকর্তা হিসেবে, আমরা বাংলাদেশের তরুণদের আগ্রহ ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসংস্থানের জন্য তাদের তৈরি করার দায়িত্ব নিই, যা তাদের ভবিষ্যতের উপযুক্ত দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ১ কোটি তরুণ এবং বাংলাদেশে ১০ লাখ তরুণকেদক্ষ করতে আমরা বদ্ধপরিকর, এবং বিজমায়েস্ত্রোজ- এর মাধ্যমে আমরা একটি ‘লিগ অব ফিউচার লিডার্স’ গড়ে তোলা এবং দেশের তরুণ শক্তির সুফল কাজে লাগাতে আমাদের লক্ষ্যকে ত্বরান্বিত করছি।”
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :