ভারত থেকে আলু ও ডিম আমদানি প্রভাবে কমতে শুরু করেছে পণ্য দুটির দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে প্রতি পিস ডিমের দাম কমেছে ২ টাকা এবং খুচরায় কমেছে এক টাকা। অন্যদিকে পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়ে কমেছে আলুর দামও। উভয় পর্যায়ে আলুর দাম কমেছে কেজিতে ১৫ টাকা।
বর্তমানে পাইকারিতে ভারতীয় আলু কেজি ৩২ টাকা এবং দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৪ টাকা।
পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, আমদানির কারণে দাম কমেছে- এমন তথ্য ঠিক নয়। তাদের যুক্তি হচ্ছে- বর্ষার সময় ডিমের চাহিদা বাড়ে। সেজন্য দামও বেশি থাকে। কিন্তু এখন শীত মৌসুম শুরু হয়েছে। বাজারে শিম, মুলা, নতুন আলু, ফুলকপি ও বাধাকপিসহ শীতকালীন অনেক সবজি এসেছে। সেগুলোর দামও কমতে শুরু করেছে। এসব কারণে ডিমের চাহিদা আগের তুলনায় কম। ফলে দাম কমেছে।
দেশে দফায় দফায় বেড়ে রেকর্ড ১৭০ টাকায় পৌঁছায় ডিমের ডজন। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর আরও দুই দফায় যথাক্রমে ৬ কোটি ও ৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তিন দফায় মোট ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। অনুমতি দেওয়ার দেড় মাস পর প্রথম চালানে ভারত থেকে প্রায় ৬২ হাজার ডিম এসেছে দেশে।
ভারত থেকে ডিম আমদানির খবরে দাম কিছুটা কমেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি ডজন ফার্মের বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে ডজন ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন ছোট ব্যবসায়ীরা। এতদিন ডিমের ডজন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছিল।
এদিকে বাজারে দফায় দফায় বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় ওঠে আলুর কেজি। সরকারের বাজারে নজরদারি জোরদার করার পরও দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ডিমের পর সরকার আলু আমদানিরও অনুমতি দেয়। এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ টনের বেশি আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে আজ পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৭০০ টন। বাজারে ভারতীয় আলু ও দেশিয় নতুন আলু- এ দুই ধরনের আলু আসার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।
একুশে সংবাদ/স.শ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :