১ ডিসেম্বর থেকে পণ্যের মূল্য নতুন করে সমন্বয় করারও আহ্বান জানিয়েছে পোশাক মালিকদের এই শীর্ষ সংগঠন, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক মালিক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) সংগঠনের তরফে পোশাক শ্রমিকদের নতুন ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার বিষয়ে জানানো হয়েছে। পোশাকের মূল্য বাড়াতে এএএফএর সভাপতি স্টিভেন ল্যামারের উদ্দেশ্যে গত ৮ নভেম্বর চিঠি পাঠান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
চিঠিতে ফারুক হাসান বলেন, দেশের পোশাক মালিকেরা নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করবে। সে জন্য ক্রেতাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে যেসব পণ্য জাহাজিকরণ করা হবে, নতুন মজুরির আলোকে তার মূল্য সমন্বয় করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি। এখন থেকে যত ব্যবসায়িক চুক্তি করা হবে, তা এই নতুন ন্যূনতম মজুরির সাপেক্ষে করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি।
চিঠিতে তিনি আরও বলেন, তিনি যেন এএএফএর সদস্যদের বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেন, যেন তারা যথাযথ একাত্মতার সঙ্গে বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের বিষয়টি বিবেচনা ও তাদের সহযোগিতা করেন।
চিঠিতে বলা হয়, পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ টাকা বা ১১৩ দশমিক ৬৩ মার্কিন ডলার। শ্রমিকদের মোট মজুরি বেড়েছে ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। এবার শ্রমিকদের মূল মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে মোট মজুরির ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। ফলে শ্রমিকদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়বে।
বিষয়টি সম্পর্কে বিজিএমইএ এর আগেও এএএফএকে অবহিত করেছিল। গত সেপ্টেম্বরে এক চিঠিতে ডিসেম্বর থেকে যেসব পোশাক উৎপাদিত হবে, ক্রয়াদেশের বিপরীতে সেগুলোর দাম যৌক্তিকভাবে বাড়াতে মার্কিন ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিল বিজিএমইএ।
এরআগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গত ২৭ জুলাই একটি চিঠি দেন এএএফএর সভাপতি স্টিভেন ল্যামার। সেই চিঠিতে তিনি শ্রমিকনেতা শহীদুল ইসলাম হত্যাকাণ্ড নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত শাস্তি দাবি করেন। একই সঙ্গে তিনি তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকের জন্য ন্যায্য মজুরি নির্ধারণেরও অনুরোধ জানান।
পোশাকশ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে প্রকৃত শ্রমিক প্রতিনিধি, ট্রেড ইউনিয়ন নেতা এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের উন্মুক্ত সংলাপেরও দাবি জানিয়েছিল এএএফএ।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :