AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান

বাচ্চুর সম্পদের সন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০১:১৫ পিএম, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩
বাচ্চুর সম্পদের সন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক

বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর সম্পদের সন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত আবাসিক এলাকায় তার নিজের নামে ও স্ত্রী- সন্তানদের নামে হাজার কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।

এরই মধ্যে আদালতের মাধ্যমে বনানীর ডিওএইচএস, বসুন্ধরা ও ধানমন্ডির বেশকিছু সম্পদ জব্দের আদেশ পেয়েছে দুদক। এসব সম্পদ কোনও অবস্থাতেই যেন হস্তান্তর ও বিনিময় করা না হয়, সে জন্য নিবন্ধন অধিদফতরের মহাপরিদর্শককে (আইজিআর) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদক সূত্রের খবর, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাচ্চু, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে হাজার কোটি টাকার বেশি সম্পদের সন্ধান পেয়েছে তারা। তাছাড়া পালিয়ে থেকে এসব সম্পদ বিক্রি করে দেশ ছেড়ে যাওয়ারও পরিকল্পনা করছেন বাচ্চু, এমন তথ্যও রয়েছে দুদকের কাছে। যদিও বাচ্চুর বিদেশ যাওয়ার ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যে কারণে বাচ্চু ও তার পরিবারের নামে থাকা সম্পদ জব্দ করে নিজেদের জিম্মায় নিতে কাজ শুরু করেছে দুদক।

বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি দেশের আলোচিত ঋণ কেলেঙ্কারি ঘটনাগুলোর একটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে— ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাচ্চু এবং ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঋণের নামে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। এ ঋণ কেলেঙ্কারি ঘটনায় ২০১৫ সালে ৫৯টি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এসব মামলায় প্রায় ১৫০ জনকে আসামি করা হলেও শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর নাম কোনও এজাহারেই ছিল না।

যদিও এসব কেলেঙ্কারির মূল কারিগর ছিলেন তিনি। এ নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনাও কম হয়নি। তবে দীর্ঘ আট বছর পর তদন্ত শেষে গত ১২ জুন দুদক এসব মামলার চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এতে ৫৯ মামলার মধ্যে ৫৮টির চার্জশিটেই আসামি হিসেবে বাচ্চুর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর দুদক তার অনেকগুলো সম্পদের সন্ধান পেয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হুদা আদালতে সেসব সম্পদ জব্দ ও রিসিভার নিয়োগের আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর সিনিয়র জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান বুধবার (১৫ নভেম্বর) এসব সম্পদ জব্দের আদেশ দেন।

দুদক কর্মকর্তারা জানান, বাচ্চুর যেসব সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলোর দলিল মূল্য যা-ই থাকুক, বর্তমান বাজার মূল্যে সেগুলোর দাম হাজার কোটি টাকার ওপরে। যে কারণে তিনি আম মোক্তার নামার মাধ্যমে এসব সম্পত্তি হস্তান্তর ও বিক্রি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।

বাচ্চুর যেসব সম্পদ ক্রোকের আদেশ : ঢাকা মহানগর সিনিয়র জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান বুধবার (১৫ নভেম্বর) বাচ্চুর যেসব সম্পদ  জব্দের আদেশ দিয়েছেন, তার মধ্যে রয়েছে— ভাটারা থানার জোয়ার সাহারা মৌজায় ২২৮ শতাংশ জমি। ২০১২ সালের ২১ মে এ সম্পত্তি কেনেন তিনি, যার দলিল মূল্য দেখানো হয়েছে ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা।

এ সম্পত্তি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার আই/৭১৯ ও আই/৭২০ নম্বর প্লট। ক্যান্টেনমেন্ট বাজার এলাকার ছয় নম্বর প্লট কিনেছেন ২০১২ সালের ১৭ অক্টোবর। সেখানে জমির পরিমাণ ৩০ দশমিক ২৫ কাঠা। এখানে একটি দলিলে শেখ আবদুল হাই বাচ্চু, তার ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না ও স্ত্রী শিরিন আক্তারের নামে ১৮ কাঠা জমি দেখানো হয়েছে।

অন্য আরেকটি দলিলে ছেলে শেখ ছাবিদ হাই অনিক ও শেখ রাফা হাই’র নামে ১২ দশমিক ২৫ কাঠা জমি ক্রয় দেখানো হয়েছে। প্রথম দলিলে ১৮ কাঠার মূল্য দেখানো হয়েছে ৯ কোটি টাকা। দ্বিতীয় দলিলে ১২ দশমিক ২৫ কাঠার মূল্য দেখানো হয়েছে ছয় কোটি ২৫ লাখ টাকা। ডিওএইচএস-এ আরেকটি দলিলে ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল ১০৪৬ দশমিক ৬৭ বর্গগজ জমি, ২ নম্বর প্লটে নির্মিত ছয় তলার বাড়ির ৫ তলায় ১৮৫২ বর্গফুটের ফ্ল্যাট নেনেন তিনি, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এটা বাচ্চু নিজের নামে কিনেছেন। তার বর্তমান ঠিকানা দেখানো হয়েছে বনানীর ডিওএইচএস (পুরাতন) এর চার নম্বর রোডের ২ নম্বর বাড়ির ২/এ নম্বর ফ্ল্যাটে।

এ বিষয়ে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর যেসব সম্পদের তথ্য ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে, সেগুলো জব্দ করতে আদালতে আবেদন করেছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা। আদালত সেগুলো জব্দ করার আদেশও দিয়েছেন। আদালতের আদেশের কারণে এখন আর বাচ্চু এসব সম্পদ বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবেন না। ভবিষ্যতে আর কোনও তথ্য পাওয়া গেলে সেই অনুযায়ী দুদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

শেখ আবদুল হাই বাচ্চু বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

একুশে সংবাদ/এএইচিবি/এস কে 
 

Link copied!