আগামী বছরের জানুয়ারির পর থেকে বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ ভোজ্যতেলের গুণগত মান নিশ্চিতকরণে ডিজিটাল মনিটরিং ও বোতলজাতকরণে সচেতনতা বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালায় একথা বলেন ভোক্তার ডিজি।
তিনি বলেন, শিল্প ক্ষেত্রে উৎপাদনের জন্য বড় পরিসরে খোলা সয়াবিন তেল ব্যবহার করা যেতে পারে কিন্তু ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেল প্যাকেটজাতকরণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। শিল্প মন্ত্রণালয় কঠোর নির্দেশনা দিলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ করতে সহযোগিতা করবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন সাপেক্ষে অধিদফতর কঠোর অভিযান পরিচালনা করবে।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হিসেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষত সয়াবিন তেল ও চিনির মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে অধিদফতর রিফাইনারি থেকে পরিবেশক পর্যায় পর্যন্ত তেল ও চিনির মজুত পরিস্থিতি জানার লক্ষ্যে সাপ্লাই চেইন মনিটরিং সিস্টেম (এসসিএমএস) শীর্ষক একটি অ্যাপস তৈরিতে কাজ করছে। এর মাধ্যমে এসব পণ্যের অবৈধ মজুত শনাক্ত করা সহজ হবে এবং এর সঙ্গে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অধিদফতরের আইনগত ব্যবস্থা নেয়া সহজ হবে।
ভোক্তার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অধিদফতর নিয়মিত কাজ করে আসছে জানিয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, ভিটামিন-এ সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রমকে ডিজিটাইজেশন সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে রিফাইনারিগুলোতে ডিজিটাইজেশন ডিভাইস স্থাপন করা হবে। যা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ মনিটরিং করবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, ভিটামিন-এ সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রমের ক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে রিফাইনারি সেক্টরকেও ডিজিটাইজেশনের অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। এরই অংশ হিসেবে ভোজ্যতেলে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রমকে ডিজিটাইজেশন সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসা দরকার।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শেখ ফয়েজুল আমীন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মু. আনোয়ারুল আলম প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :