সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পুরাতন আলুর দাম কেজিতে ১০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারিতে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। আর খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। এদিকে আগস্টের পর আবার ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা হয়েছে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
সরকারি তথ্য বলছে, গত বছর এই সময়ে রাজধানীতে এক কেজি আলুর দাম যেখানে ছিল ১৬ থেকে ২২ টাকা, সেখানে বর্তমান পাইকারি বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। খুচরায় তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা পর্যন্ত। মৌসুম শুরু হওয়ার পরও উচ্চমূল্যে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন নিরূপায় ক্রেতারা।
আলুর বাড়তি দাম নিয়ে এক ক্রেতা বলেন, পুরানো আলুর দাম বেশি। প্রতি কেজির দাম ৬৫ টাকা থেকে ৬৬ টাকা। গত সপ্তাহে দাম ছিল ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত।
আলুর দামে নাজেহাল এক ক্রেতা বলেন, আমি যদি বেছে বড় আলুগুলো নিই, তাহলে বিক্রেতা বলছেন যে প্রতি কেজির দাম ৮০ টাকা পড়বে। নিম্নবিত্তের ওপর বেশ চাপ পড়ে যাচ্ছে।
তবে পাশের পেঁয়াজ বিক্রেতারা দাম কমতির খবর দিলেন ঠিকই কিন্তু জানালেন, ৮৫ টাকার নিচে মিলবে না। এক পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, পাবনার নতুন পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ছিল ১২০ টাকা। বিগত কয়েকদিনে দাম কমেছে। ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
এদিকে বাজারে চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা দাম কমেছে। কারওয়ানবাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকা থেকে ৬৮ টাকায়, আটাশ ৫৫ টাকা থেকে ৫৬ টাকা, পাইজাম ৫৪ টাকা থেকে ৫৫ টাকা, বাসমতি ৮০ টাকা থেকে ৮২ টাকা, নাজিরশাইল ৭২ টাকা থেকে ৭৪ টাকা এবং চিনিগুঁড়া ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায়। তবে মাস ও বছরের শেষ দিকেও হিসাব মিলছে না ক্রেতার।
এ বিষয়ে এক চাল বিক্রেতা বলেন, স্বর্ণা চাল কেজি প্রতি ২ টাকা থেকে ৩ টাকা কম। প্রতি কেজি ৪৭ টাকা থেকে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আশা করি, নির্বাচনের পরও ব্যবসা বাণিজ্য ভালো হবে।
অন্যদিকে প্রোটিনের বাজারে কমেছে ডিমের দাম। প্রতি হালি লাল ও সাদা ডিম ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম নিয়ে বিক্রেতারা বলেন,গত সপ্তাহে ডিমের ডজন ছিল ১২৫ টাকা। এখন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংসও বিক্রি হচ্ছে বেঁধে দেয়া দাম ৬৫০ টাকা কেজিতেই। তবে চাহিদা বাড়ায় সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ বেড়ে গেল আগস্টের পর আবার দুইশ টাকা পার হলো ব্রয়লার মুরগির দাম। এক বিক্রেতা বলেন, গতকাল ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৯০ টাকা। এখন তা ২০০ টাকা থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যোগানের বিপরীতে চাহিদা বেশি থাকায় বর্তমানে দাম বাড়তি।
আবার রমজান আসি আসি করতেই মুদিখানায় চড়তে শুরু করেছে মসুর, মুগসহ সব ধরনের ডালের দাম। যদিও কেন বাড়ছে সেই কারণ জানেন না খুচরা বিক্রেতারা।
এ বিষয়ে এক মুদি বিক্রেতা বলেন, কিছুদিন আগে দেশি মসুর ডাল ছিল ১৩০ টাকা কেজি। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি দরে। দেশি মুগ ডাল ছিল ১৪০ টাকা, এখন তা ১৫০ টাকায় উঠেছে। এক সপ্তাহ আগে ছোলাবুট ছিল ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা। এখন তা দাঁড়িয়েছে ১৯০ টাকা কেজি। যেখানে রমজান এখনো আসেইনি। তবে ভোজ্যতেলসহ মোটামুটি স্থিতিশীল মুদিখানার অন্যান্য নিত্যপণ্য।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :