রমজানের বাকী প্রায় দুই মাস। আর তার আগেই দেশে বেড়ে গেছে সয়াবিন তেলের দাম। রাজধানীর খুচরা বাজারে লিটারে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭৩ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, রোজার আগে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম আরেক দফা বাড়াতে পারেন মিল মালিকরা। তবে, আমদানিকারকদের দাবি, পর্যাপ্ত পরিমাণ তেলের সরবরাহ রয়েছে। সয়াবিন তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বড় পাঁচটি কোম্পানির আধিপত্য রুখতে হবে বলে মত বাজার বিশ্লষকদের।
প্রতি বছর রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারে ছোলা ও চিনির মতো সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কায় থাকেন ভোক্তারা। এবারও তাই হয়েছে। প্রায় দেড় মাস বাকি থাকতেই লিটারে পাঁচ টাকা বাড়িয়েছেন মিল মালিকরা। বিক্রেতাদের শঙ্কা, পুরানো সেই স্টাইলে রমজানের আগে আরেক দফা দাম বাড়ানোর তৎপরতা চালাতে পারে প্রতিষ্ঠানগুলো।
খুচরা ব্যবসায়ী বলছেন, রমজানকে সামনে রেখে ১৫ থেকে ২০ দিন আগেই ক্রাইসিস দেখানো হয়। এই সুযোগে তারা দাম বৃদ্ধি করেন। ভোক্ত অধিদপ্তর ও গণমাধ্যম আসতে কিছুদিন সময় লাগে। আর এই সময়ে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লাভ করে নিয়ে যায়।
পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান, দাম বাড়তি থাকলেও সরবরাহ লাইন ঠিকঠাক আছে। বাজার এখন স্বাভাবিক। সব মিলে ডেলিভারিও ক্লিয়ার আছে। একই দাবি আমদানিকারকদেরও। তারা বলেন, সবারই মাল স্টক আছে। সংকটের কোনো কারণ নেই।
সারাদেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা ২১ লাখ টন। আর রোজায় চাহিদা ৪ লাখ টনের মতো। যার ৯০ শতাংশই আমদানি করে কয়েকটি শিল্প গ্রুপ। বিশ্লেষকরা বলছেন, ৮০ শতাংশ সয়াবিন তেল দুটি কোম্পানি এবং ২০ শতাংশ তিনটি কোম্পানির হাতে। বাজারে মনোপলি সিস্টেম চালু থাকলে কারসাজির দরকার হয় না।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এইচ এম শফিকুজ্জামান জানান, তেল আমদানি, মজুদ ও সরবরাহের তাৎক্ষণিক তথ্য পেতে ট্রেকিং সফটওয়্যারের ব্যবহার শুরু করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :