পণ্য আমদানি করে স্থানীয় বাজারের মূল্য সহনশীল করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, এক কোটি পরিবারকে টিসিবির মাধ্যমে নিত্যপণ্য দেয়া হবে, তাতে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে থাকবে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে মেট্রপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টি ঢাকার (এমসিসিআই) অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব পণ্য ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে আমদানি করা হবে।
তিনি বলেন, পণ্য বহুজাতিক ও বৈচিত্র্যকরণে বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে। পাট, চামড়া, হস্তশিল্প- এসব সেক্টরে পণ্যের অরিজিন আর কারিগর চিহ্নিত করে এসব পণ্যের বিকাশে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এর লক্ষ্যে উপজেলা থেকে রাজধানী ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মেলায় তুলে ধরা হবে। ই-কমার্সের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। বিদেশের মিশনে যোগাযোগ করে পণ্য বিদেশের বাজারে ছড়িয়ে দেয়ার কাজ চলছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সামনে বাজার ব্যবস্থাপনা একটা চ্যালেঞ্জ। তবে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় আর অংশীজনদের সমন্বয়ে বাজার স্থিতিশীল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী মাস থেকে বাজারভিত্তিক পণ্যের তালিকা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। যার মাধ্যমে পণ্যের দাম সহনীয় থাকবে।
মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান বলেন, কোম্পানি আইনকে সময়োপযোগী করে সংশোধন করতে হবে। আমদানি পণ্যে শুল্ক কমালে নিত্যপণ্যের দাম কমবে। অপ্রয়োজনীয় বা বিলাসী পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করতে হবে। ডব্লিউটিও সেলকে শক্তিশালী করতে হবে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী বলেন, পণ্যের বহুমাত্রিক বাজারজাতকরণ বাড়াতে বন্ড লাইসেন্সকে শিথিল করতে হবে।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :