আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করবে সরকার। প্রাথমিকভাবে চলতি মার্চ থেকেই এ পদ্ধতি কার্যকর হবে। এ বিষয়ে ‘জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা’-এর প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
শুক্রবার (১ মার্চ) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রাথমিকভাবে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চলতি মার্চ থেকে কার্যকর হবে। পেট্রোলিয়াম পণ্য (ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোল) তথা সরকার যে সকল গ্রেডের জ্বালানি তেলের বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে থাকে সেগুলোর জন্য এই স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে।
তবে সরকার বা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) প্রয়োজন মনে করলে অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের ক্ষেত্রেও শর্ত সাপেক্ষে উক্ত নির্দেশনা প্রয়োগ করতে পারবে।
ডিজেল ও কেরোসিনের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে আমদানিকৃত পরিশোধিত ডিজেলের কস্ট কম্পোনেন্টগুলোর পাশাপাশি ইস্টার্ণ রিফাইনারীতে ক্রুড অয়েল থেকে উৎপাদিত ডিজেলের কস্ট কম্পোনেন্টগুলো অন্তর্ভুক্ত হবে। এ দুই ধরনের জ্বালানি তেলের কস্ট কম্পোনেন্টগুলো বিবেচনা করে নিম্নরূপভাবে ডিজেল ও কেরোসিনের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করা হবে-
ডিজেলের স্বয়ংক্রিয় বিক্রয় মূল্য (H)= পণ্য মূল্য (A) + আমদানি শুল্ক, অগ্রিম আয়কর ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট (B) + অপারেশনাল ব্যয় (C) + আর্থিক, প্রশাসনিক ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় (D) + বিপিসির মার্জিন (E) +ভ্যাট (F4) + বিক্রয় ও বিতরণ খরচ (G)।
অকটেন ও পেট্রোলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে আমদানিকৃত পরিশোধিত অকটেনের কস্ট কম্পোনেন্টগুলো বিবেচনা করে নিম্নরূপভাবে অকটেনের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করা হবে-
অকটেনের স্বয়ংক্রিয় বিক্রয় মূল্য (H)= পণ্য মূল্য (A) + আমদানি শুল্ক, অগ্রিম আয়কর ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট (B) + অপারেশনাল ব্যয় (C) + আর্থিক, প্রশাসনিক ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় (D) + বিপিসির মার্জিন (E) + ALPHA (α)+ ভ্যাট (F) +বিক্রয় ও বিতরণ খরচ (G)।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ আরও জানায়, বাস্তবতার নিরিখে দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রোল ব্যক্তিগত যানবাহনে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয় বিধায় এর মূল্য বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে বেশি রাখা হয়। বর্তমানে ডিজেল ও অকটেনের খুচরা বিক্রয় মূল্য পার্থক্য লিটার প্রতি ২১ টাকা। ফর্মুলা অনুযায়ী অকটেনের মূল্য নির্ধারণকালে ডিজেলের সঙ্গে পার্থক্য লিটার প্রতি ন্যূনতম ১০ টাকা যেন থাকে, সেজন্য প্রাইসিং ফর্মুলায় ‘α’ ফ্যাক্টর বিবেচিত হবে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :