ঘোষিত সময়ের তিন দিন পর রোববার (৩ মার্চ) থেকে প্রতি লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬৩ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাস্কফোর্স। তবে ১ মার্চ থেকে কেন কার্যকর করা যায়নি, সেই প্রশ্নের সঠিক জবাব নেই বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর কাছে। পণ্যের সরবরাহ বাড়িয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহেই ভারত থেকে আসবে পেঁয়াজের চালান।
এর আগে সাধারণ ক্রেতারা বলেছেন, কোনো পণ্যের শুল্ক বা বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে রাতারাতি সেটার প্রভাব পড়ে দেশের বাজারে। কিন্তু কমার সময় চলে টালবাহানা। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে ১ মার্চ থেকে সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা কমানোর ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটি এখনও কার্যকর হয়নি।
এক বিক্রেতা বলেন, সরকার ঘোষণা দিয়েছে ১ তারিখ থেকে সয়াবিন তেলের নতুন দর কার্যকর হবে। কিন্তু কোম্পানি বলছে, ৩ থেকে ৪ দিন লাগবে তেল আসতে।
গত শনিবার (২ মার্চ) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আগামীকাল (রোববার) থেকে সরকার নির্ধারিত ১৬৩ টাকা লিটার দামে ভোজ্য তেল পাওয়া যাবে। ইতোমধ্যে মিলগুলোতে তেলের মূল্য তদারকিতে মন্ত্রণালয়ের টিম যাচ্ছে। এছাড়া রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম ভোক্তার নাগালে রাখতে বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে বলে যোগ করেন। এ সময় চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির কথাও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনাবিষয়ক টাস্কফোর্সের সভায় সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত হয়। নতুন দাম অনুযায়ী, বোতলজাত প্রতি লিটারে দাম ১৬৩ এবং পাঁচ লিটারের দাম ৮০০ টাকা হওয়ার কথা। আর খোলা প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম হওয়ার কথা ১৪৯ টাকা। সেদিন সভায় জানানো হয়েছিল, নতুন দাম কার্যকর হবে ১ মার্চ থেকে।
গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে চার নিত্যপণ্যের শুল্ক কমানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব পণ্য হলো চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর। এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুল্ক কমানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :